বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক থেকেই সরকার নেতাকর্মীদের কারাবন্দি করছে’

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যুবদল শান্তিপ্রিয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে যদি সরকার দুর্বলতা মনে করে তাহলে ভুল করবে। সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সারাদেশে বিএনপি-যুবদলসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিনা কারণে কারাবন্দি করছে। বিরোধী মতধারীদের গুম করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। আসলে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক থেকেই সরকার এগুলো করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

শনিবার (২৫ মে) বিকালে নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে আল ফারুক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে নেতাকর্মীদের খোঁজ নিতে জেলা যুবদল আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সাথে ছিলেন।

আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, বিএনপির সংগ্রাম ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। জনগণের ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে যুবদল রাজপথে থাকবে। যুবদল একটি শক্তিশালী সংগঠন। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

তিনি আরোও বলেন, সংগঠনকে সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও গতিশীল করতে সারা দেশের ৬৪ জেলায় গিয়ে নেতাকর্মীদের খোঁজ নিচ্ছেন যুবদল। ইতিমধ্যে ৪০টি জেলায় নেতকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে যুবদল।

পরে নওগাঁ জেলা যুবনেতা কোহিনুর ইসলাম মিলি গত ২১ সালের ৩০ মার্চ কেডির মোড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে বাম চোখ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোন ও নওগাঁ পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অসুস্থ মো. কবির আলম লিটনের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার তুলে দেন যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এ সময় যুবদলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মাহফুজার রহমান রিটন,প্রচার সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ,সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কে এম এস মুসাব্বির শাফি,সদস্য আনোয়ার হোসেন জনি,সদস্য মাহামুদুস সালেহিন, নওগাঁ জেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুদ হায়দার টিপু,সদস্য সচিব রুহুল আমিন মুক্তার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম রওশন-উল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মুস্তাকিন আহমেদ নিপু ও রুবেল হোসেন।

এছাড়া ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপি, জেলা বিএনপি ও যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সিউল শহরের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

তাকে গ্রেপ্তারের সময় প্রথমে তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছিল।

ইউন সুক ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসনের পর গ্রেপ্তার হলেন।

ইউন তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ইউন। মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তাকে সেই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত ঘোষণা করে এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান ইউন। এরপর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

Header Ad
Header Ad

নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন

রোবাইয়াত ফাতিমা তনি ও তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন আর নেই। ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর ৩টা ৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। নিজের ফেসবুকে তনি লেখেন, "সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩.০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মতো একা করে চলে গেছে।"

কয়েক মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহাদাৎ। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিঙ্গাপুর ও পরে ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় নিজের ফেসবুকে তনি জানিয়েছিলেন, "জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সব কিছু অনিশ্চিত জেনেও অনেক কষ্ট করে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংকক নিয়ে এসেছি। বাকি সব আল্লাহর ইচ্ছা।"

তনি তার ছেলের জন্য স্বামীর জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহাদাৎ হোসাইন আর ফিরে আসেননি।

শাহাদাৎ হোসাইন ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে তনির বৈবাহিক সম্পর্কের বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিভিন্ন সময় কটাক্ষ করা হলেও তনি সবকিছুর সাহসিকতার সঙ্গে জবাব দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তনি ভালোবেসে শাহাদাৎকে বিয়ে করেন। শুরুতে পরিবারের আপত্তি থাকলেও পরে সব মিটমাট করে নেন তারা।

Header Ad
Header Ad

ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালীন অপরাধমূলক কার্যক্রম এবং বিতর্কিত ভূমিকার সঙ্গে জড়িত সবাইকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিদিন দু-একজন করে ধরা পড়ছেন। আজ মতিউর, ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে। তাকেও এতদিন ধরা যায়নি। অন্যদেরও ধরা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে। সব তো এক দিনে ধরা যায় না। অনেকে লুকিয়ে আছে। খুঁজে খুঁজে একে একে তাদের সবাইকে ধরা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিতর্কিত ভূমিকার পরও কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং তাদের বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে, অনেক নবীন পুলিশ সদস্য, যারা ট্রেনিং শেষ করেছেন, তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যারা বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ দেখে ধরা হচ্ছে। প্রতিদিন ২-১ জন করে ধরা পড়ছেন। যেমন আজ মতিউরকে ধরা হয়েছে। অনেকেই লুকিয়ে আছেন, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা, কনস্টেবল থেকে শুরু করে ডিসি পর্যন্ত, যারা সরাসরি গুলি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে তথ্য-প্রমাণ মিললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। তবে ধরা পড়ার পরও এক ওসি পালিয়ে গেছেন।'

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পাশ্ববর্তী দেশের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সঠিক ও স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করেছেন। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানাই। বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের তালিকা থাকলে সেটি পুলিশের সদর দপ্তরে জমা দিন।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের বিষয়ে যা জানা গেল
মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি