একসঙ্গে বিষপানে প্রেমিকের পর মারা গেলেন প্রেমিকাও
ফাইল ছবি
জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার খাঁড়িতা গ্রামে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রেমিকের পর মারা গেলেন প্রেমিকাও।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়ার একটি হাসপাতালে প্রেমিকার মৃত্যু হয়। এরআগে সোমবার ভোরে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেমিক মুরাদ (১৭) মারা যায়। গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে তারা বিষপান করে।
এই দুই প্রেমিক-প্রেমিকা হলো মুরাদ শেখ (১৭) ও তাজমিন আক্তার (১৫)। মুরাদ খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে এবং তাজমিন একই গ্রামের তোজামের মেয়ে। মুরাদ এবার বড়তারা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আর তাজমিন বাঁকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরাদের সঙ্গে একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের পরিবার বিষয়টি জানার পর সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরে মুরাদের পরিবার তাকে মালেশিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের পর দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করে। এরপর তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা বাড়ি ফিরে আসে।
গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়। প্রেমিক মারা যাওয়ার খবরে প্রেমিকা তাজমিনও আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সেও মারা যায়।
ক্ষেতলাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপান করেছে। প্রেমিক মুরাদ মারা গেছে। এ খবরে মেয়েটিও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে নিলে সেও মারা যায়। এ ঘটনায় মুরাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে তার দাফন হয়েছে। আর মেয়েটির মরদেহ বগুড়াতে আছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।