সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে অতিষ্ঠ নওগাঁবাসী!

যানজটে আটকা পড়ে অতিষ্ঠ নওগাঁবাসী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁ জেলা শহরে চলাচল করছে বেশী ভাগ ইজিবাইকের নেই নিবন্ধন। জেলা শহরের পৌরসভায় লাইসেন্সধারী ইজিবাইকের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। এর বাইরে লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক রয়েছে আরও প্রায় সাত হাজার। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে যানবাহন বৃদ্ধি ও অদক্ষ চালক ইচ্ছেমতো চালানোর কারণে শহরের সড়কগুলো ইজিবাইকের দখলে চলে গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন শহরবাসী।

স্থানীয়রা বলছেন, তিন চাকার এসব যানবাহনের কারণে শহরের সড়কগুলো অনিরাপদ হয়ে উঠছে। দুর্ঘটনা আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে পথচারীদের। সড়কে তিন চাকার যানের দাপট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।

নওগাঁ পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শহরের আয়তন ৩৮ দশমিক ৪২ বর্গকিলোমিটার। ২০১০ সাল থেকে শহরে চলাচলে ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৮৭টি তিন চাকার যানকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের পর থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রেখেছে।

পৌরসভা কার্যালয়ে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, বর্তমানে শহরে প্রতিদিন ১১ হাজারের অধিক ইজিবাইক চলাচল করে। পৌরসভার নিবন্ধনধারী ইজিবাইকের বাইরে যেসব ইজিবাইক চলাচল করে এগুলোর বেশিরভাগরই নিবন্ধন নেই। বৈধ-অবৈধ ইজিবাইক ছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে আরও প্রায় আট হাজার।

নওগাঁ শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে তাজের মোড়, বাটার মোড়, ব্র্রিজের মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, মুক্তির মোড়, রুবির মোড় ও দয়ালের মোড় এলাকায় গড়ে উঠেছে বড় বড় বিপণিবিতান, ব্যাংক, বিমাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। শহরের এসব বাজার এলাকার ভেতর দিয়ে চলে গেছে প্রধান সড়ক। সড়কটির প্রস্থ কোথাও ১৬ ফুট, আবার কোথাও ৮ ফুট। এ সড়ক দিয়ে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে কিছুদূর পরপর গড়ে উঠেছে ইজিবাইক ও অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। ফলে সড়কটি দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। শহরের প্রধান সড়ক ছাড়াও শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড- গোস্তহাটির মোড় সড়ক, ব্রিজের মোড়-ডিগ্রির মোড় সড়কেও তীব্র যানজট লেগে থাকে।

শহরের ওই সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজার এলাকায় কিছুদূর পরপর যানজট লেগে থাকে। রাস্তায় চলা যানবাহনের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই ইজিবাইক। আগে যাওয়ার জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লেগে থাকে ইজিবাইকগুলো। মানা হয় না কোনো ট্র্যাফিক আইন। অনেক ইজিবাইক এক থেকে দুজনের বেশি যাত্রী পাচ্ছে না। অথচ একটি ইজিবাইকে আটজন যাত্রী বসতে পারে। শহরের তাজের মোড় থেকে মুক্তির মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় কিছুদূর পরপর গড়ে উঠেছে ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়কের ওপর ইজিবাইক ও অটোরিকশার এসব অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে পুরো রাস্তাই অবরুদ্ধ হয়ে থাকছে।

স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল মেহমুদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘শহরে যেসব তিন চাকার যান চলাচল করে তার বেশিরভাগই লাইসেন্সবিহীন। এসব অবৈধ যানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এ ছাড়া চালকেরাও অদক্ষ। রাস্তার মধ্যে যেখানে-সেখানে ইজিবাইকগুলো দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি করছে।’

শহরের ব্রিজের মোড় এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী নাসির আহমেদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ইজিবাইক ও অটোরিকশাগুলো যেখানে সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সড়কের মোড়গুলোতে গোলচত্বর বা ইউটার্ন না থাকায় যেখানে-সেখানে সড়কের ওপর ইজিবাইগুলো ইচ্ছেমতো ঘোরানো হচ্ছে। এছাড়া সিগন্যাল ছাড়াই হঠাৎ করে রাস্তায় গাড়ি ঘোরানোর ফলে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। ইজিবাইকচালকদের এসব নিয়ন্ত্রণহীন চলাফেরা নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে মারামারির ঘটনাও ঘটে।’

এদিকে চালকদের দাবি, শহরের ভেতরে ইজিবাইকের কোনো বৈধ স্ট্যান্ড নেই। বৈধ স্ট্যান্ড বা ফাঁকা কোনো জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁদের রাস্তার ওপরেই ইজিবাইকগুলো দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। এ ছাড়া বৈধ ইজিবাইকের বাইরেও শহরে অবৈধভাবে কিছু ইজিবাইক চলাচল করে।

শহরে ইজিবাইক চালান এমন দুজন চালক মিজানুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, পৌরসভা থেকে যে পরিমাণ ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তার প্রায় দ্বিগুণ ইজিবাইক অবৈধভাবে শহরে চলাচল করে। অবৈধ ইজিবাইকের বিষয়ে কড়াকাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শহরে গাড়ির সংখ্যা অনেক কমে যাবে। ফলে যানজট সমস্যাও কমে আসবে।

টানা ১৪ বছর ধরে নওগাঁ পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন নজমুল হক সনি। যানজট সমস্যার বিষয়ে তিনি ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘এই শহরের প্রধান সমস্যা হচ্ছে শহরের ভেতর যাওয়া প্রধান সড়কটি প্রয়োজনের তুলনায় সরু। এটা প্রশস্ত না হলে কিংবা শহরের তাজের মোড় থেকে মুক্তির মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় ফ্লাই ওভার না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে না। এই শহরে দেড় লাখের বেশি লোকের বসবাস। মানুষের প্রয়োজনেই রাস্তায় যানবাহন চলাচল করে। শহরে যানবাহনের চাপ কমানোর জন্য ২০১৬ সাল থেকে শহর এলাকায় ইজিবাইকের রুট পারমিটের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু তারপরেও আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স পাওয়া ইজিবাইক শহরের ভেতর ঢুকে পড়ছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া এসব অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা পৌরসভার একার পক্ষে সম্ভব নয়।’

তবে নওগাঁ শহরের যানজট সমস্যা নিরসনে আশার বাণী শুনিয়েছেন নওগাঁ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল হক। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নওগাঁ শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়া প্রধান সড়কের সান্তাহার ঢাকা মোড় এলাকা থেকে চৌমাশিয়া পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক চার লেন করতে একটি প্রকল্প প্রস্তাব সড়ক, পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে প্রকল্পটি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাশ হয়েছে। আশা করছি, আগামী একনেক সভাতেই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। শহরের প্রধান সড়কটি চার লেন হলে যানজট সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।’

Header Ad
Header Ad

শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল

‘জয় বাংলা’ লিখাটি স্প্রে করে মূছা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকারের পতন ও স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর এসব হতাহতের ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রং-তুলি দিয়ে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে ছবি, গ্রাফিতি ও লেখনিতে তুলে ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতারা।

সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

কিন্তু হঠাৎ করে গত দুইদিন থেকে নওগাঁ শহরের কেডির মোড় ও মুক্তির মোড় সহ বিভিন্ন মোড়ের দেয়ালে যেখানে ছাত্রদের গ্রাফিতি অঙ্কন করা ছিল সেখানে ‘জয় বাংলা’ লিখা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই স্লোগানটি লিখে। এরপর ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘জয় বাংলা’ লিখাটি স্প্রে পেইন্ট ব্যবহার করে মুছে দেন নওগাঁ জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও জিয়া সাইবার ফোর্স।

এসময় নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার, জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ এমরান হোসেন, সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম পারভেজ, শ্রমিক দল নওগাঁ সদর থানার সভাপতি আরিফুল হক রানা সহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্স এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার বলেন, ছাত্রজতার গ্রাফিতির ওপর রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা জয় বাংলা লিখেছে। জয় বাংলা যারা কায়েম করার চেষ্টা করছে তাদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা আর কখনোই তারা বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫টি বছর বাংলাদেশ কে গুজবে পরিণত করেছে। উন্নয়নের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। গত ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। বাংলার মাটিতে তা কখনো বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

বিদ্যুতের বকেয়া জমে গেলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন মানিক সাহা। ভারতের বিদ্যুৎ করপোরেশন লিমিটেডের মাধ্যমে এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিবেশী বাংলাদেশে ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ত্রিপুরা।

পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানিক সাহা বলেছেন, ‌‌‌বাংলাদেশ আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ প্রায় ২০০ কোটি রুপি দেয়নি। বকেয়ার পরিমাণ প্রতিদিন বাড়ছে। আমরা আশা করছি, তারা বকেয়া পরিশোধ করবে; যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত না হয়।

বকেয়া পরিশোধে ঢাকা ব্যর্থ হলে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কিছু যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের ভূখণ্ড অথবা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা হয়েছে। সেজন্য কৃতজ্ঞতা হিসেবে ত্রিপুরা সরকার একটি চুক্তি মেনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।

কিন্তু আমি জানি না, বকেয়া পরিশোধ না করলে আমরা বাংলাদেশে কতদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারব।

ত্রিপুরা ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। দক্ষিণ ত্রিপুরার পালাটানায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানির (ওটিপিসি) গ্যাস-ভিত্তিক ৭২৬ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আরেক রাজ্য ঝাড়খণ্ডের এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন কোম্পানি আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের বকেয়ার পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হওয়ায় গত আগস্টে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট থেকে সরবরাহ কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াট করে কোম্পানিটি।

বাংলাদেশে কথিত হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ত্রিপুরায় প্রভাব ফেলছে কি না, জানতে চাইলে মানিক সাহা বলেন, প্রতিবেশী দেশটি থেকে এখনও ত্রিপুরা রাজ্যে বড় ধরনের কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি। তবে আমরা সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কারণ সীমান্তের অনেক এলাকা উন্মুক্ত। সেখানে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তবে আগস্টে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা শুরু হওয়ার পর দেশটি থেকে বড় আকারে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি।

উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশ বেষ্টিত ত্রিপুরা। রাজ্যটির সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে ৮৫৬ কিলোমিটার; যা রাজ্যের মোট সীমান্তের প্রায় ৮৪ শতাংশ।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে মানিক সাহা বলেন, তিনি এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমরা এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা সহকারী হাইকমিশন চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পণ্য আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় যেসব পণ্য আসে তার মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, পাথর ও ইলিশ মাছ। সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এটা তাদের ক্ষতি।

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগরতলা ও ঢাকার মধ্যে রেললাইন চালু হলে তা উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত লাভজনক হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে কোনও বাধা ছাড়াই ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হলে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবে।’’

সড়কপথে আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি দূরত্ব প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার। গত বছরের ১ নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়ার সঙ্গে আগরতলার সংযোগকারী একটি রেললাইন উদ্বোধন করেছিলেন। প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ভারতে ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতীয় অংশের ব্যয় ছিল ৭০৮ দশমিক ৭৩ কোটি রুপি। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকল্পে অর্থায়ন করে। বাংলাদেশ অংশের ব্যয় ছিল ৩৯২ দশমিক ৫২ কোটি রুপি। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থায়ন করে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে সেটি বাস্তবায়ন করে।

Header Ad
Header Ad

হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত শহীদ আরাফাতের জানাজা শুরুর আগে তিনি এমন কথা বলে।

তিনি বলেন, গণহত্যাকারীদের আমরা বাংলার মাটিতে বিচার নিশ্চিত করব এই ঘোষণা দিয়েই আমরা এক দফা ঘোষণা করেছিলাম। এক বিন্দু পরিমাণও আমরা পিছ পা হইনি। আমরা বিচার নিশ্চিত করবোই।

তিনি বলেন, যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এবং ভাবছে বাইরে থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদেরকে বলব বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সারজিস আলম বলেন, আমাদের শহীদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আমরা যেন আমাদের ভাইদের স্বপ্নকে যেন কোন ভাবেই ভুলে না যাই। আমরা কোন শহীদের পরিবারের বাবা-মাকে তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবে এতটুকু বলতে পারি খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
সাদা পোশাকে সেঞ্চুরিতে জ্যোতির ইতিহাস
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ৩ জন নিহত
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব: আসিফ নজরুল
পপ তারকা ম্যাডোনার সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের ডিপফেক ছবি ভাইরাল
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
দেশে ১৯ লাখ ৪০ হাজার তরুণ বেকার- বিবিএস’র জরিপ
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের