পুলিশ উপ-পরিদর্শক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নওগাঁয় গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ পুলিশবাহীনির সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুলকে (৪৫) নওগাঁর মান্দা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫ এবং র্যাব-২ এর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে জেলার মান্দা উপজেলায় র্যাবের যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার বাবুল নওগাঁ সদর থানার চকবিরাম গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। আর নিহত পুলিশ সদস্য নীলফামারী জেলায় ডিএসবিতে (এসআই) উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা নীলফামারী জেলায় বিশেষ পুলিশ শাখায় (ডিএসবিতে) এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। কাজের সুবাদে তিনি গত ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর রাজশাহী জেলা আদালতে সাক্ষ্য দিতে যান। সাক্ষ্য প্রদান শেষে তিনি ও তার বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি ফুলবাড়ি উপজেলায় যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে বিরামপুর সরকারি কলজ সংলগ্ন তেল পাম্পের সামনে পৌঁছলে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁ গামী ফারুক পরিবহন নামক বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘাষণা করেন।
পরবর্তীতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার পিতা বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্প এবং র্যাব-২ এর যৌথ আভিযানিক দল আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর হয়। তবে আসামি বাবুল প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায়, গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে র্যাব-৫ এবং র্যাব-২ এর যৌথ অভিযানে ৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে নওগাঁ জেলার মান্দা থানা এলাকা হতে এজাহার নামীয় পলাতক আসামি বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ওই দিনই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।