শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নওগাঁয় সরিষা উৎপাদনের সাথে বাড়ছে মধু আহরণ

মৌচাষের জন্য সরিষা খেতের পাশে বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের হলুদ রঙের সমারোহ। চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় প্রতিটি মাঠ এখন সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখর। যেদিকে চোখ যায় শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ-ধাঁধানো বর্ণিল সমারোহ। এর পাশেই মৌ-বক্স বসিয়েছেন মৌ চাষিরা। এতে মৌমাছির মাধ্যমে সর্ষে ফুলের পরাগায়নে সুবিধা হচ্ছে। পরাগায়নের ফলে একদিকে সর্ষের উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে মধু আহরণ করা হচ্ছে। সমন্বিত এই চাষে সরিষা চাষি ও মৌচাষি-দুই পক্ষই লাভবান হচ্ছে। শুধু মধু উৎপাদন করেই এ মৌসুমে আয় হতে পারে ১০ কোটি টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ জেলায় কৃষকদের দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। পাঁচ বছরে জেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে দিগুনেরও বেশি। জেলার ১১টি উপজেলায় এ বছর সরিষার চাষ হয়েছে ৬৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার ৬৫০ হেক্টর বেশি। গত বছর জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছিল ৪৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। ২০২১ সালে সরিষার আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে, ২০২০ সালে ৩১ হাজার ১৭৫ হেক্টর এবং ২০১৯ সালে সরিষা চাষ হয়েছিল ৩০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এই হিসাবে গত পাঁচ বছরে জেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এবার চাষ হওয়া ৬৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি থেকে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

মৌচাষের জন্য সরিষা খেতের পাশে বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স

 

স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা গত দুই-তিন বছর ধরেই শর্ষে চাষে ঝুঁকছেন। এবার গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার হেক্টরের বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। এ ছাড়া গত মৌসুমে শর্ষের ভালো দাম ছিল। চলতি বছর বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, এবার বর্ষায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিচু জমিগুলো থেকে এবার আগেই পানি নেমে গেছে। ওই সব জমি বোরো আবাদের জন্য দুই-তিন মাস ধরে ফেলে না রেখে কৃষকেরা সেখানে সরিষা চাষ করেছেন। ফসল ঘরে উঠতে সময় লাগে জাত ভেদে ৭০ থেকে ৯০ দিন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় এবার বিভিন্ন মাঠে সরিষা খেতের পাশে গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৮ হাজারের অধিক মৌ-বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এই পরিমাণ বক্স থেকে এবার ২০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করা হবে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। প্রতি কেজি মধু ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এবার জেলায় শর্ষের ফুল থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার মধু সংগ্রহ হতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তা ও মৌচাষিরা।

মৌ-বাক্স

 

সূত্রটি আরও জানায়, চলতি বছর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে শর্ষে চাষ হয়েছে মান্দা উপজেলায়। ফলে এ উপজেলার মাঠে মাঠে মৌচাষিদের আনাগোনাও বেশি। মান্দা উপজেলার কালিকাপুর, ভারশো ও তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ জমিজুড়েই সরিষার আবাদ হয়েছে। এসব মাঠে সরিষা খেতের পাশে মৌ-বক্স বসিয়েছেন খামারিরা (মৌচাষিরা)। তাঁরা রাজশাহী, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা থেকে এসেছেন। কেউ কেউ অন্য এলাকা থেকে এসেছেন। মান্দার বিভিন্ন এলাকায় ২২ জন মৌ খামারি ৪ হাজার বক্স নিয়ে এসেছেন মধু সংগ্রহ করতে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের মৌচাষিরাও মধু সংগ্রহ করছেন।

গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের জয়বাংলা মোড় এলাকায় মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট মল্লুকপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পাশে মহাসড়ক সংলগ্ন একটি আম বাগানে ৫০০টি মৌ-বক্স স্থাপন করেছেন মৌচাষি আবুল কালাম আজাদ। রাজশাহীর কেশরহাট উপজেলা থেকে তিনি এসেছেন মধু সংগ্রহের জন্য।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই সপ্তাহ হলো তিনি ওই মাঠে মধু সংগ্রহের জন্য বক্স বসিয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৫০০টি বক্স থেকে দুবার মধু সংগ্রহ করেছেন। প্রতিবার একটি বক্স থেকে আড়াই থেকে তিন কেজি মধু পাওয়া গেছে। গত পাঁচ বছর ধরেই নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় রবি মৌসুমে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসজুড়ে শর্ষে খেতের পাশে মৌ-বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করে আসছেন।

মৌ-বাক্সে মৌমাছিদের আনাগোনা

 

মান্দার পরেই জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শর্ষে চাষ হয়েছে নিয়ামতপুর উপজেলায়। নিয়ামতপুরে এবার সরিষার আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। নিয়ামতপুর উপজেলার কয়াশ গ্রামের একটি মাঠে ৮০টি বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন মান্দা উপজেলার ভালাইন এলাকার সাইদুর রহমান। তিনি স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের সরিষা খেতের পাশে বাক্স বসিয়েছেন।

আব্দুর রাজ্জাক জানান, সরিষা খেত থেকে মধু আহরণ করলে পরাগায়ন হয়। এতে উৎপাদন বাড়ে। তাই তিনি ও আশপাশের জমির মালিকেরা মৌচাষিদের উৎসাহিত করছেন।

সরিষা খেতের পাশেই বসানো হয়েছে মৌ-বাক্স

 

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, ‘মৌমাছি শর্ষের ফুলে উড়ে উড়ে বসে মধু সংগ্রহ করে। এতে শর্ষে ফুলে সহজে পরাগায়ন ঘটে। শর্ষে খেতে ফুল যত বেশি হবে শর্ষের উৎপাদনও তত বেশি হবে। শর্ষে খেতের পাশে মৌ চাষের বক্স স্থাপন করলে শর্ষের ফলন অন্তত ১০ শতাংশ বাড়ে। পাশাপাশি মৌচাষিরা মধু আহরণ করে লাভবান হন।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মৌমাছির মাধ্যমে বক্স পদ্ধতিতে মধু আহরণ করে কৃষি খাতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। বিশেষ করে সরিষা, কালিজিরা, আম ও লিচু উৎপাদনের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কৃষকের ধারণা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রচারণার পাশাপাশি মৌচাষে উৎবুদ্ধ করতে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেক মৌচাষিকে কৃষি বিভাগ থেকে মৌ-বাক্স ও রাণী মৌমাছিও সরবরাহ করা হচ্ছে।’

Header Ad

অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এবারের আসর। ওয়ানডে ফরম্যাটে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবেন বাংলাদেশের যুবারা। এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আজ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এবারের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দেবেন আজিজুল হাকিম তামিম। আগামী ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও আফগানিস্তান। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ শেষে ১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপাল ও ৩ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। দুবাই ও শারজা দুই ভেন্যুতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের ১৫টি ম্যাচ।

আগামী ২৪ নভেম্বর আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। ২৬ নভেম্বর শারজাতে ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমরা।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াড:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বরেণ্য, সাদ ইসলাম রাজিন।

স্ট্যান্ডবাই:
কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত, সানজিদ মজুমদার।

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত