পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হতে চান এমপি, সম্পদ কোটি টাকার বেশি
মোছা. শাহাজাদী আলম লিপি। ছবি: সংগৃহীত
এবার নানা কারণে আলোচনায় রয়েছেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. শাহাজাদী আলম লিপি। তফসিল ঘোষণার অনেক আগে থেকেই নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন তিনি। এদিকে তার স্বামী হামিদুল আলম মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত।
নির্বাচনে অংশ নিতে ইসিতে জমা দেয়া হলফনামায় নিজেকে কোটি টাকার সম্পদের মালিক বলে উল্লেখ করেছেন লিপি। এছাড়াও হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসা। আর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। লিপি কৃষি খাত থেকে বছরে আয় করেন ৫০ হাজার ২০০ টাকা। আর তার স্বামীর কৃষি খাত থেকে আয় ৪ লাখ ৫৮ হাজার ২০০ টাকা। লিপি বাড়ি ভাড়া পান ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার স্বামী পান ৬ লাখ ১ হাজার ২০০ টাকা। স্বামীর চাকরি থেকে বছরে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬০ টাকা আয় হয় বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যান্য খাতে স্বামীর কোনো আয় না থাকলেও লিপি আয় করেন ৫৭ হাজার ৯৬৬ টাকা। লিপির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ খাত থেকে আয়ের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে লিপির নগদ টাকা রয়েছে ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯০৫ টাকা। তার স্বামীর কাছে নগদ টাকা আছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৯। লিপির স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা মিলনের ব্যাংকে ৪১ হাজার ৯১৭ টাকা গচ্ছিত থাকলেও লিপির ব্যাংকে রয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৫ টাকা।
হলফনামা অনুযায়ী স্ত্রী লিপির চেয়ে স্বামীর অলংকার বেশি। লিপির ১০ ভরি অলংকার থাকলেও স্বামী মিলনের রয়েছে ৫০ ভরি। তবে এটি কী ধরনের অলংকার সেটি উল্লেখ নেই হলফনামায়। এমনকি মূল্যও উল্লেখ করা হয়নি।
লিপির ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ৩০ হাজার টাকার। তার স্বামীর রয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার টাকার। ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে লিপির। বিপরীতে স্বামীর রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র।
লিপি হলফনামায় বলেছেন, তার ২৫৯ দশমিক ৬৯ শতক জমি রয়েছে। যার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা। অন্যদিকে তার স্বামীর কৃষি জমি রয়েছে ১২১৪ শতক। এই জমির দাম মাত্র ৪ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
১০১ দশমিক ৫৭ শতক অকৃষি জমির মালিক লিপি। যার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার ২৪০ টাকা। তার স্বামী মিলনের ২৫২ দশমিক ৫৩৬ শতক জমি রয়েছে। যার মূল্য ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ২৮০ টাকার বলে দাবি করা হয়েছে।
স্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে লিপির একটি পাঁচতলা দালান। এটি হেবা সূত্রে (বিনা মূল্যে দানপত্র) পাওয়া বলে উল্লেখ করেছেন। আছে নির্মাণাধীন আরও একটি বাড়ি। রয়েছে তিনটি দোকান। লিপির স্বামীর রয়েছে একটি পাঁচতলা দালান, একটি আধাপাকা বাড়ি। তবে হেবা বা দানপত্র সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে কোনো মূল্য উল্লেখ করা হয়নি।