ইসি রাশেদা সুলতানাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন হিরো আলম
বগুড়া-৬ সদর ও কাহালু নন্দীগ্রাম আসনে উপনির্বাচনে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম (হিরো আলম) নির্বাচনের দুই দিন পর কাহালু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে করলেন। তিনি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে হিরো আলম বলেন, 'হিরো আলম এবং জাসদের রেজাউল করিম তানসেন (মশাল প্রতীক) এই দুইজনের মধ্যে গণভোট দেন। জনগণ ভোট দিয়েছে কি-না দেয়নি, ফলাফল চুরি করেছেন কি-না সেটাও আমি দেখাবো।'
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভোট পরবর্তী কাহালু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন হিরো আলম। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) হিরো আলমের ফল পাল্টানোর অভিযোগের ভিত্তি নেই এবং এই আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল শতভাগ সঠিক বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
হিরো আলম বলেন, গণভোটে প্রতিটা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিবেন এবং যারা নির্বাচন কমিশনার আছেন তারা সবাই সেই ভোট দেখবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আমি আর কোনোদিন নির্বাচন করব না, নির্বাচনের নাম মুখে আনব না যদি গণভোটের মাধ্যমে হেরে যাই। '
তিনি আরও বলেন, আমি চাই গণভোট হবে ব্যালটে। কারণ ইভিএমে কারচুপি হয়। আর কারচুপি করেই আমাকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। আমি এখন কাহালু উপজেলার প্রতিটা কেন্দ্রে ঘুরছি। ভোটাররা আমার হেরে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছে আপনার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমি ফল প্রত্যাখ্যান করেছি। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আদালতে রিট করব। আশা করছি সেখানে আমার পক্ষে ফল আসবে। '
বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম (হিরো আলম) পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। মাত্র ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় হন তিনি। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৯ প্রার্থী করেন।
এসআইএইচ