হিরো আলমের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিইসির নির্দেশ
বগুড়া-৪ কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনে উপনির্বাচনে আলোচিত সমলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন (হিরো আলম) একতারা প্রতীকের ভোটের ফলাফল খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বগুড়া-৪ কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনের ফলাফল বদলানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে বৃহস্পতিবার টেলিফোনে এ নির্দেশ দেন সিইসি। বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানা যায়, বুধবার ১জানুয়ারী বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম। ওইদিন রাতে সংবাদ সম্মেলনে ১০কেন্দ্রের ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। গণমাধ্যমে এটি দেখার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কাহালু-নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন একেএম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল প্রতীক)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আশরাফুল হোসেন (একতারা প্রতীক) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
হিরো আলম বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩৯ টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এরপরের ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনা বাদ দিয়েই ফলাফল দিয়েছে প্রশাসন। এই কেন্দ্রগুলো কতোগুলো ভোট পাইলাম তা জানানো হলো না আমাকে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলে জায়গায়ে গোলমাল করে ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। সদরের ভোট নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। লাহেড়ী পাড়ায় আমার এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি। তানসেনের কোনো নাম-গন্ধই ছিল না অথচ তাকে পাশ করানো হয়েছে।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, হিরো আলমের ভোটের ফলাফল নিয়ে সিইসি টেলিফোনে ফলাফল খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। এ জন্য আমরা বগুড়া-৪ আসনের সব কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। ইভিএম মেশিনে পড়া ভোটের হিসাব সঠিক আছে। আমরা হিরো আলমকেও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের কপি দিয়েছি।
এএজেড