এক ঘণ্টার ব্যবধানে নওগাঁয় সড়কে ঝরলো ৩ প্রাণ
মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে জেলায় পত্নীতলা ও সাপাহার উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। ঘটনাস্থলেই দু’জন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন, পত্নীতলা উপজেলার ইউনিয়নের পরাণপুর গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে ছুরত আলী (৫০), কাস্টবই গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৫০) ও একই উপজেলার গোবিন্দবাটি গভীড়াকুড়ি গ্রামের দছিমদ্দিন (পেপে)র ছেলে ফারুক হোসেন (৪২)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, সাপাহার উপজেলা সদর থেকে একটি ওষুধ কোম্পানির কাভার্ড ভ্যান মালামাল নিয়ে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বাজারে যাচ্ছিলো। বেলা ১২ টার দিকে কাভার্ড ভ্যানটি উপজেলার শিহাড়া মোড় এলাকায় একটি বাঁক ঘুরানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাম পুলিশ সুরত আলীকে চাপা দিয়ে একটি পানের দোকানের ভেতর ঢুকে যায়। এতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাম পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং চায়ের দোকানদারসহ দোকানের ভেতরে থাকা তিনজন গুরুত্বর আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে আহত গোলাম মোস্তফা ও ছমির উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫ টায় আহত গোলাম মোস্তফার মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত কাভার্ড ভ্যানটি আটক করে এর চালক ও সহকারী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না করায় ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের জন্য তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃত চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানায় একটি মামলা দায়ের হবে।
এদিকে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবীর বলেন, নিহত ফারুক হোসেন পোরশা উপজেলার বালিয়াচাঁন্দা নিজ আম বাগান থেকে সাপাহার বাজারের দিকে মোটরসাইকেল যোগে আসছিলেন। এসময় পথিমধ্যে উপজেলার তেঘরিয়া নামক স্থানে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই ফারুক হোসেন নিহত হয়।
এএজেড