চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুঁলিয়ায়
ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ছিল ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুম ও সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে গতকাল সোমবার (৯ জানুয়িারি) সন্ধ্যা থেকেই কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার রাস্তাঘাট। সেই সঙ্গে বয়ে যায় হিমেল হাওয়া। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়ে। তবে আজ মঙ্গলবার সকালে হিমেল হাওয়া কিছুটা কম থাকলেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে রাস্তাঘাট। এ জন্য দিনের বেলায় মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহনগুলোকে। এ অবস্থায় শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাচ্ছেন পঞ্চগড়বাসী। তীব্র শীতে সময় মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না শ্রমজীবি মানুষেরাও।
এমন পরিস্থিতিতে পঞ্চগড়ে মরিচ, ভূট্টা, বোরো ধানের বীজতলাসহ নানা ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলার আটোয়ারী উপজেলার মরিচ চাষি বদরুল ইসলাম বলেন, আমি ৪ বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করব। কিন্তু এত শীতে কিভাবে মরিচ লাগাবো ভেবে পাচ্ছি না। শীতে তো মরিচের চারা কুকঁরিয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক স্প্রেতেও কাজ করছে না এমন অবস্থা।
অন্যদিকে ডায়রিয়া, জ্বর সর্দি, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। প্রতিনিয়তই জেলার হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে ভিড় করছেন রোগীরা। অনেকে ভর্তি হচ্ছেন আবার অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, জানুয়ারির শুরু থেকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডা অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে চলতি মাসের মাঝের দিক ও শেষের দিকে মৃদ্যু থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলায় সরকারি ও বেসরকারীভাবে শীতার্তদের জন্য প্রায় ৪৩ হাজার শীতবন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এসআইএইচ