পঞ্চগড়ে চলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ, বেড়েছে জনদুর্ভোগ

গত কয়েকদিন ধরে উত্তর দিক থেকে আসা হিমালয়ের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও রাতভর ঘন কুয়াশায় পথঘাট ঢেকে যায়। রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দেয়। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
রবিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৬টায় তেতুঁলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে ডায়রিয়া, জ্বর সর্দি, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। প্রতিনিয়তই জেলার হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে ভিড় করছেন রোগীরা।
অন্যদিকে কুয়াশার কারণে আলু-মরিচসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধান রোপন ব্যাহত হচ্ছে। সেইসঙ্গে বোরো ধানের বীজ তোলায় কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার ঘড়িনা বাড়ি ইউনিয়নের চাষী নজরুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজ তোলায় ক্ষতি হওয়ায় সামনে কিভাবে বোরো ধান রোপন করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
এমন পরিস্থিতিতে জেলায় সরকারি ও বেসরকারীভাবে শীতার্তদের জন্য প্রায় ৪২ হাজার শীতবন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তবে জানুয়ারির শুরু থেকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডা আপাতত দুই-একদিন না থাকলেও ঘন কুয়াশা থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি আরও জানান, সেই সঙ্গে চলতি মাসের মাঝের দিক ও শেষ দিকে দুইটি মৃদ্যু থেকে মাঝারি শৈতপ্রবাহ চলতে পারে।
এসআইএইচ
