২০ বছর পর হত্যা মামলার রায়, ২ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে রিকশাচালক ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলার আরেকটি ধারায় তাদের ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নূর ইসলাম এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার হিচমী পশ্চিমপাড়া এলাকার আ. বারীকের ছেলে মো. জুয়েল ও সিরাজ উদ্দীনের ছেলে মাহমুদুল। তবে রায় ঘোষণার পর আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৯ জুন দুপুরে সদর উপজেলার মাগনী পাড়ার জালাল উদ্দীনের ছেলে রিকশাচালক ফারুক হোসেন প্রতিদিনের মতো রিকশা নিয়ে বের হন। পরে রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে ১ জুলাই সকালে তার বাবা লোকমুখে জানতে পারেন সদর উপজেলার কড়ই কাদিপুর সড়কের পাশ থেকে তার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে সেই রিকশাসহ জুয়েল ও মাহমুদুলকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে আক্কেলপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সেইদিনই জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা। এ মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামিদের দোষী করে আদালত আজ এ রায় দেন।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন বিচারক। রায়ে বিচারক দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। একই মামলায় আরেকটি ধারায় ওই দুই আসামিকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারক পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এসজি