রাজশাহীতে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণসহ খামারিদের ৫ দফা দাবি
রাজশাহীতে সরকারিভাবে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে খামারিরা। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান রাজশাহী পোল্ট্রি ফার্মার ঐক্য পরিষদ।
৫ দফা দাবি সমূহ হলো-সরকারিভাবে সঠিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণের মাধ্যমে ডিম ও মাংসজাত মুরগির মূল্য নির্ধারণ, সরকারিভাবে স্বল্পমূল্যে খামারিদের প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন, মেডিসিন ও চিকিৎসা সেবা প্রদান, খামারিদের স্থাপিত বৈদ্যুতিক মিটারগুলোকে কৃষিভিত্তিক মিটারে রুপান্তর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ও সহজ পদ্ধতিতে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনর্বাসনে সরকারি প্রণোদনা।
এর আগে একই দাবিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মানিকুজ্জামান, আহ্বায়ক হামিদুল আলম ও রাজশাহী পোল্ট্রি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।
বক্তারা বলেন, একটি লেয়ার মুরগির ডিম আসতে সময় লাগে ৬ মাস। এ সময়ে একটি মুরগির পেছনে খরচ পড়ে ৬৫০-৬৭৫ টাকা। মুরগি তার সময়কালে ৪৮০-৫০০টি ডিম পাড়ে। বর্তমানে ৫০ কেজি খাবারের দাম ২৮৬০ টাকা। প্রতিটি মুরগি ৬ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৫৫ পয়সা পর্যন্ত খাবার খায়। এখানে সব মুরগি আবার ডিমও দেয় না। গড়ে একটি লাল ডিম উৎপাদনে খরচ পড়ে ১০ টাকা এবং সাদা ডিমে ৯ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু আড়তে দাম পাচ্ছেন ৭ টাকা ৬০ পয়সা এবং ৮ টাকা। প্রতিটি ডিমে খামারিদের ১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ কারণে রাজশাহীর ২০ হাজার খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ছাড়াও পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআইএইচ