সিটি বাস সার্ভিস ভেঙে দিল অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট
রাজশাহীতে যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে সিটি বাস সার্ভিস চালুর খবরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে অটোরিকশা চালকরা। সংশ্লিষ্টদের নাটকীয়তা শেষে সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য।
এদিন দুপুরে নগরীর রেলগেট থেকে কোর্ট, কোর্ট থেকে সাহেব বাজার, নওহাটা থেকে সাহেব বাজার, কাটাখালি থেকে কোর্ট রুটে ১৬টি বাস নামানোর খবর ছড়িয়ে পড়ে। বাস চলাচলের রুটের তালিকা প্রকাশ করা হলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে আন্দোলনকারীরা।
এদিন চলাচলকারী একাধিক অটোরিকশাচালক জানান, রাস্তায় বের হলে গাড়ি ভেঙে দেবে এমন খবরেই তারা বের হননি। আর ভাড়া তো বাড়ানো দরকার। ওই আন্দোলনেরও প্রয়োজন ছিল। রাসিক কাউন্সিলররা আশ্বাস দিয়েছেন। অবশ্যই কিছু একটা হবে।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো জানান, তারা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বিবেচনায় মানবিক দিক থেকে নগরীতে ১৫-১৬ টি বাস চালু করেছেন। এটা সাময়িক। তবে সাধারণ মানুষের সাপোর্ট থাকলে এটা দীর্ঘমেয়াদি রূপ পেতে পারে। এ বিষয়ে সিটি মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো কথা হয়নি। তবে চাহিদা থাকলে কথা বলা হবে।
সিটি বাস সার্ভিসকে স্বাগত জানিয়েছে ইজিবাইক মালিক শ্রমিকদের তিনটি সংগঠন। এ বিষয়ে মহানগর ইজিবাইক মালিক শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জানান, তারাও ভাড়া বৃদ্ধি চান। তবে এমনভাবে জনগণকে জিম্মি করে না। একটি কুচক্রী মহল এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। এখন সিটি বাস চালুর খবরে রাস্তায় নেমেছে। আর কী বলার আছে। অথচ একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আলাপ-আলোচনা করে দাবি আদায় করা যেত।
এদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে না ঘোষণা দেওয়া রাসেল জানান, তাদের আন্দোলনের কোনো নেতা নেই। একটা চিঠির মাধ্যমে রবিবার সকালে চালকদের ধর্মঘটের বিষয়ে জানানো হয়েছিল। তারা নিজ নিজ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের এ বিষয়ে বলেছেন। তারা মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছেন। মেয়র সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এসজি