১৫০ আসনে ইভিএম উদ্দেশ্যমূলক: চুন্নু
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১১০ বা ৮০ না হয়ে ১৫০ আসনে ইভিএমের ব্যবহার দূরভিসন্ধি ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু।
শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার মুন লাইট কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত কর্মীদের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ দল নির্বাচনে ইভিএমের বিরুদ্ধে তাদের মতামত জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদেরও ডেকেছিল। আমরাও এর বিরোধিতা করেছি। কারণ সাধারণ মানুষ এই প্রযুক্তি বুঝে না। নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএম না দিয়ে আমাদের খুশি করেছে। আর ১৫০ আসনে ইভিএম দিয়ে আওয়ামী লীগকে খুশি করেছে। আমার প্রশ্ন হলো সরকার গঠন করতে লাগে ১৫১ আসন। এটা কী? এটা বুঝা যায় না?
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই জাতীয় পার্টি নিয়ে কথা বলছে। বিএনপি ১২-১৩ বছর ধরে আন্দোলন করছে। দেশে এত এত ইস্যু কিন্তু মানুষ তাদের আন্দোলনে আসে না। কারণ মানুষ মনে করে, আওয়ামী লীগ যদি চোর হয় তাহলে বিএনপি তো ডাকাত।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির কখনোই হৃদ্যতা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই প্রান্তের দুই মেরুতে অবস্থান করছে। এদের দিয়ে বিশৃঙ্খলতা ও মারামারি ছাড়া অন্য কিছু হবে না।
মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, জাতীয় পার্টির মতো দল ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে, বিএনপি বাঁচবে ও দেশের মানুষ বাঁচবে। সেজন্য আমরা বলছি জোট-ফোটের মধ্যে আমরা নাই। এসময় তিনি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছে মানুষের মন জয় করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
এদিকে সভার শুরুতে উপজেলা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তারা। তৃণমূলের নেতারা দলের অভ্যন্তরের কোন্দল, অযৌক্তিক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ও বিভক্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভোট শেষ, জোট শেষমুক্ত জোটের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার আহ্বান জানান।
জাতীয় পার্টি রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক মো. রাহাত হোসনের সভাপতিত্বে এই বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান উপদেষ্টা এমপি নুরুল ইসলাম তালুকদার, রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওয়াসিউর রহমান দোলন এবং সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য ও পবা-মোহনপুর সংসদ সদস্যপ্রার্থী মো. আব্দুস সালাম খাঁন।
এসজি