ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, আটক ১
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাদাইল এলাকা থেকে এক কিশোরীকে (১১) অপহরণের পর ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব-৫। আটক ওই ব্যক্তির নাম সালাম হোসেন (৪০)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (১০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের কাঁঠালতলী এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে র্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। একই বাড়ি থেকে অপহৃত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানা জানান, গত ১১ জুলাই নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কাদাইল বাজার এলাকা থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া ওই কিশোরীকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে সালাম হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণকারীরা ফোন করে ওই কিশোরীর বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকাও আদায় করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা পত্নীতলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এছাড়া র্যাব-৫-এর কাছেও এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত করতে শুরু করে। তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে অপহৃত কিশোরীর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, অপহরণের পর প্রথমে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সালাম, তাঁর অপর দুই সহযোগী চয়ন উদ্দীন ও আলমগীর হোসেন ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরে নওগাঁ শহরের কাঠালতলী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে সালাম ও তাঁর সহযোগীরা পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করিয়ে অর্থ উপার্জন করতে শুরু করে। ওই বাসা থেকেই অপহৃত কিশোরী ও এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি সালামকে আটক করা হয়। সালামের সহযোগীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। আটক ব্যক্তিকে আজকেই পত্নীতলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এক কিশোরীকে অপহরণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ সম্প্রতি করা হয়।র্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অপহৃত কিশোরী ও এক অপহরণকারীকে আটক করেছে। তবে র্যাব এখনও থানা পুলিশের কাছে তাঁদেরকে হস্তান্তর করেননি। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এএজেড
