পদ্ম ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য সোনাকান্ত বিলে
প্রত্যেকটি ফুল নিজের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং প্রত্যেকটি ফুলের আলাদা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। প্রত্যেকটি ফুলের ঘ্রাণ ভিন্ন ভিন্ন রকম। এবং পাবেন না কোন ফুলের সাথে কোন ফুলের সম্পর্ক। তেমন একটি জলজ উদ্ভিদ পদ্মফুল। অনিন্দ্য সৌন্দর্যের কারণে জলজ ফুলের রানি বলা হয় এই পদ্মফুলকে।
আগে বর্ষা ও শরৎকালে বিলে-ঝিলে জলের ওপর ফুটে থাকত পদ্মফুল। কিন্তু দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক জলজ উদ্ভিদ প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। আগের মতো বিল-ঝিলের জৌলুসতা এখন নেই। এতে হারিয়ে যাচ্ছে পদ্মফুলসহ আরও অনেক জলজ উদ্ভিদ।
তবে কয়েক বছর যাবত বর্ষা মৌসুম দেখা মিলছে পদ্ম ফুলের তেমনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া আমডাঙ্গার সোনাকান্ত বিলে দুই বছর পর দেখে মিলছে পদ্মা ফুলের। সোনাকান্ত বিলের চারপাশে পদ্ম ফুলে ফুলে ভরে গেছে। যত দূর চোখ যায়-শুধু গোলাপি রঙের আভা। দিনের আলোর স্পর্শে এ রঙ যেন আরও ঝলমলে হয়ে ওঠে। এমন অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
চোখ ভরে দেখছেন, বিলের প্রকৃতির রূপ। দর্শনার্থীরা স্মৃতি ধরে রাখতে ছবিও তুলছেন। স্থানীয়রা ভালবেসে নাম দিয়েছে এই বিলকে 'সোনাকান্ত বিল'। তবে বিলের মধ্যে যাতায়াতের নেই কোন ব্যবস্থা। এই অপরূপ সৌন্দর্য পদ্ম ফুল ছিড়ে নষ্টও করছে অনেক দর্শনার্থীরা অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় তুষার আহমেদ বলেন, এই বিল 'সোনাকান্ত' বিল নামেই পরিচিত। গত দুই বছর ধরে বর্ষাকালে এ বিলে গোলাপি রঙের অসংখ্য পদ্ম ফুল ফোটে। এমনিতে পদ্ম ফুল সারা বছর থাকে না। বর্ষা কালেই শুধু দেখা যায়। তবে গত দুই বছর ধরে ফুল ফুটছে। প্রকৃতপ্রেমীদের কাছে এটি 'সোনাকান্ত পদ্মবিল' নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে এখন।
জাহিদ হাসান বলেন,পদ্মফুলের কাছে যাওয়া মাত্রই দর্শনার্থীরা ফুল ছিড়ে ফেলছে। এতে তাদের ফুল না ছেঁড়ার জন্য অনুরোধ করি । কিন্তু যখন কেউ থাকে না, তখন দর্শনার্থীদের অনেকে যে যার মত ফুল ছিড়ে নষ্ট করে ফেলে। এ বিষয়টা খুবই খারাপ লাগে। একটা সময় আমাদের দেশে অনেক পদ্ম দেখা যেতো। কিন্তু বর্তমান সময় বিল জলাশয় ভরাট করে ফেলার কারণে পদ্ম ফুল বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। এই প্রকৃতির সৌন্দর্যকে রক্ষা করতে হবে।
দর্শনার্থী রাজিব হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে আমডাঙার সোনাকান্ত বিলে পদ্ম ফুল ফুটেছে। তাই ফুটে থাকা পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে। হুমায়ুন কবির বলেন, এই বিলে প্রবেশের জন্য নৌকার ব্যবস্থা নেই। তবে নৌকা থাকলে আমরা ফুলের কাছে গিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারতাম। এখন লোকজন হেঁটেই বিলে গিয়ে ফুলের সৌন্দর্য দেখছে আর ফেরার পথে পদ্ম ফুল তুলে নষ্ট করছে।
এএজেড