রাজশাহী মেডিকেলে কর্মচারীর ওষুধ চুরির ভিডিও!
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিরুদ্ধে ওষুধ চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডের মেডিসিন ব্লকে এই ঘটনা ঘটে। ওই কর্মচারীর চুরি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মনিরুল ইসলাম (৩৭) নামক ওই পরিচ্ছন্নতা কর্মী এদিন সকালের শিফটে দায়িত্ব পালন করছিলো। সে হাসপাতালে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কর্মরত রয়েছে বলে জানা যায়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মনিরুলের গায়ে নীল রঙ্গের টি-শার্ট ও কালো ফুলপ্যান্ট ছিলো। ওয়ার্ডে ঔষুধের ট্রলিতে থাকা একটি সাদা রঙ্গের কোটা আলমারিতে রাখলেন। রাখার পর পুনরায় ওষুধের ট্রলিতে ফিরে এসে বেশ তাড়াহুড়ো করে দুই হাত দিয়ে তিনবারে বেশকিছু ইনজেকশন ঔষুধ তার প্যান্টের বাম পকেটে ঢুকাচ্ছেন। অন্য আরেকজন অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে ডেকে বাইরে চলে যাচ্ছেন। তবে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি রামেক হাসপাতালের কোন পদে কর্মরত আছে কি না তা এখনো জানা যায়নি।
এই ভিডিওটি রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন তার নিজ ফেসবুক আইডিতে আপলোড করে লিখেছিলেন, 'রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ নং ওয়ার্ড মেডিসিন ব্লকে স্টাফের ওষুধ চুরি। রুগীর ওষুধ কিনতে হয় আর সরকারি ওষুধ চুরি হয়। অবশ্য পরে তিনি ভিডিওটি তার ফেসবুক ওয়াল থেকে সরিয়ে নেন'।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, এ ঘটনায় ওই ওয়ার্ডের ইনচার্জসহ সকলকে নিয়ে বসা হয়েছিলো। এর আগে তার বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। আর অভিযুক্তের দাবি তিনি ওয়ার্ড থেকে বারান্দায় থাকা রোগীর জন্য ওষুধগুলো পকেটে নিয়েছিলেন। এখন যে ওষুধ সে পকেটে নিয়েছিলো সেগুলোর দামও বেশি না। তবে যেহেতু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএজেড