প্যাঁচার দ্বীপে অপহৃত চার স্কুলছাত্রের তিনজন উদ্ধার
কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপ থেকে অপহৃত চার স্কুলছাত্রের মধ্য তিন জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জনকে উদ্ধার করেছে র্যাব, অন্য দুই জনকে উদ্ধার করেছে এপিবিএন। এক শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের পাশের পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত তিন শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তর জানায়, অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের পাশের কয়েকটি পাহাড়ে অভিযান চালায় র্যাব। এই অভিযানের এক পর্যায়ে ক্যাম্পের পাশের পাহাড় থেকে জাহেদুল ইসলাম নামের অপহৃত এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে র্যাবের পাশাপাশি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নও (এপিবিএন) অভিযানে নামে। ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের পাশের পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুল ছাত্রদের মধ্যে দুজনকে উদ্ধার করা হয়। বাকি একজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে তিন ছাত্রকে উদ্ধারের আগে এই অপহরণে জড়িত অভিযোগে টেকনাফের মুচনী ক্যাম্পের এইচ-৪ ব্লকের বাসিন্দা নুর সালাম (৫৫), তার মেয়ে রনজন বিবি (১৭) এবং আবদুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম মিয়াকে (৪০) আটক করেন এপিবিএন সদস্যরা।
এর আগে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুই রোহিঙ্গা গত মঙ্গলবার সকালে চার স্কুলছাত্রকে সন্ত্রাসী চক্রের হাতে তুলে দিয়েছিল বলে অপহৃতদের স্বজনরা জানিয়েছেন। অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীরা হলো, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের প্যাঁচারদ্বীপের মংলা পাড়ার আবদুস সালামের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১৬), আবদুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার (১৪), ফরিদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন (১৪) এবং মো. আলমের ছেলে মিজানুর রহমান (১৪)।
এনএইচ/এএন