শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুড়িগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুন মাষকলাইয়ের সম্ভাবনা

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে নদ-নদী অববাহিকার বিস্তৃর্ণ ধূসর বালুচরে। কৃষকের বিস্তৃত মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। যেন চারদিকে সবুজ রঙ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। সবুজ ঢেকে দিয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত চকচকে বালুকাময় এলাকা। সে রঙের নয়ন জুড়ানো দৃশ্যে সেজেছে ফসলের মাঠ।

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র্য। এখানে ডালপালা মেলে কৃষকের মনে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুন জমিতে চাষ হওয়া মাষকলাই ক্ষেত।

নাগেশ্বরী কৃষি অফিস জানায়, এ বছর ১শ ২০ হেক্টর জমিতে মাষকলাই চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চাষ হয়েছে ২শ ৭৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুন। অথচ কয়েক বছর আগেও পরিত্যক্ত ছিল উপজেলার দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র নদ ও গঙ্গাধর নদী অববাহিকার চরাঞ্চলীয় এসব জমি। প্রতিবছর বন্যায় পলি জমে কিছুটা আবাদযোগ্য হওয়ায় সম্পূরক সেচে এখানে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ। ফলাফল আশানুরূপ হওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে চাষাবাদ। ধারাবাহিকতায় এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১শ ৫৫ হেক্টর বেশি জমিতে মাষকলাইয়ের চাষ হয়েছে।

যে কারণে উপজেলার কেদার, বল্লভেরখাষ, কচাকাটা, নারায়ণপুর, কালিগঞ্জ, নুনখাওয়া, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চল ভরে গেছে মাষকলাইয়ের সবুজ পাতায়। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ অংশে শীষ এসেছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন প্রান্তিক চাষিরা।

কচাকাটার চর শৌলমারী এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক জানান, বন্যায় নষ্ট হওয়া চরাঞ্চলের সাড়ে চার বিঘা জমিতে মাষকলাই চাষ করেছেন তিনি। বীজ, হালচাষ, সার সবমিলিয়ে প্রতি বিঘায় তার খরচ হয়েছে ১৩শ টাকা। কাটা, মাড়াইসহ ফসল ঘরে উঠতে তার আরও ১৫শ থেকে ১৮শ টাকা খরচ হবে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি তিনি ৫ থেকে ৬ মণ ফসল পাবেন। উৎপাদিত এ ফসল তিনি মণপ্রতি ১৬শ থেকে ১৮শ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করলে আমনের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তার বিশ্বাস।

একই এলাকার কৃষক ফরিদুল আলম জানান, কম খরচে বেশি লাভ পাওয়া যায় বলে তার মতো এলাকার অনেকে মাষকলাই চাষ করছেন। বিশেষ করে পতিত জমিতে নামমাত্র হালচাষে এর বীজ রোপন করেছেন তিনি।

কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের কৃষক আল মামুন জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নিচু চরাঞ্চলে আর কোন ফসল চাষের সময় থাকে না। তাই বিভিন্ন প্রকার ডাল জাতীয় ফসল চাষাবাদ করা হয়। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে মাষকলাই, মসুর, খেসারী, মুগ, শুলটি ও মটর। এবার উপজেলায় মাষকলাইয়ের পাশাপাশি মসুর ১শ ৯৫ হেক্টর, খেসারি ১শ ৫০ হেক্টর, মুগ ১শ ৩৫ হেক্টর, শুল্টি ১০ হেক্টর এবং মটর ৬ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রান্তিক চাষিরা মাষকলাইয়ের চাষাবাদ দ্বিগুন করেছে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের বীজসহ বিভিন্ন ধরনেরর সহায়তা করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এখন পর্যন্ত ফলন ভালোই দেখা যাচ্ছে। মৌসুম শেষে আশানুরূপ ফলন পেতে পারেন প্রান্তিক চাষিরা।’

/এএন

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা