বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মুক্তিযোদ্ধার নাতি সেজে পুলিশে ১২ বছর চাকরি, অবশেষে গ্রেপ্তার

ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি পরিচয়ে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে মো. শেখ সুমন নামে এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দীর্ঘ ১২ বছর পর তদন্তে প্রতারণার বিষয়টি উদঘাটিত হলে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সুমন ২০১২ সালে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি লাভ করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় নিয়োগ পাওয়ার জন্য প্রতিবেশী মো. হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেন। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, হোসেন মিয়া তার দাদা নন।

২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর স্থানীয় যুবক মো. ফরহাদ মিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি তদন্ত করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

প্রকৃতপক্ষে মো. সুমনের দাখিল করা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়া (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) তার দাদা নন। সুমনের দাদার নাম আলতাফ আলী হোসেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়ার নাতি না হয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়ে যাবতীয় বেতন ও রেশনসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

কুমিল্লার বুড়িচং থানায় কর্মরত থাকা কনস্টেবল সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলাকালেই গত বছরের ১ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। ২১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা থেকে মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতি ও শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের কাতারে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনীতির মন্থর গতি এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দেশের দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, দৈনিক আয় ২.১৫ ডলারের নিচে হলে কেউ "হতদরিদ্র" হিসেবে বিবেচিত হন। এই মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২২ সালে বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার ছিল ৫ শতাংশ, যা ২০২৫ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯.৩ শতাংশে।

শুধু হতদরিদ্র নয়, বাড়তে পারে জাতীয় দারিদ্র্য হারও। ২০২৪ সালে যা ছিল ২০.৫ শতাংশ, সেটি ২০২৫ সালে গিয়ে পৌঁছাতে পারে ২২.৯ শতাংশে।

বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে বলা হয়, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি দরিদ্র মানুষের অবস্থান আরও নাজুক করে তুলছে। কর্মসংস্থান কমে যাওয়া এবং আয় কমে যাওয়ায় সামাজিক বৈষম্যও বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই একই দিনে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আরেক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে মাত্র ৩.৩ শতাংশে। যেখানে জানুয়ারিতে এ হার ধরা হয়েছিল ৪.১ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়ে ৪.৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি।

Header Ad
Header Ad

৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী

অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পাঁচ শিক্ষার্থী, যাদের খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য নিপন ত্রিপুরা।

তবে কোথায়, কখন এবং কীভাবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। অপহরণের ৮ দিন পর তারা ফিরে এলেও, ঘটনার পেছনের বিস্তারিত তথ্য এখনো অন্ধকারেই।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, লংঙি ম্রো এবং অলড্রিন ত্রিপুরা। সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ১৬ এপ্রিল বিঝু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে তাদের অপহরণ করা হয়।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে, অপহরণের পেছনে কারা ছিল—তা নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত।

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এই অপহরণের জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে আসছে। যদিও ইউপিডিএফ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

এর আগেই, অপহৃতদের উদ্ধারে গত সোমবার ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে চাঁদা আদায়ের রশিদ, সামরিক পোশাক, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ—শুধু উপমহাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের জন্যই যেন এক স্বপ্নের লড়াই। কিন্তু সেই স্বপ্নের লড়াই আর বাস্তবের মাটিতে নামার সুযোগ আপাতত নেই বলেই সাফ জানিয়ে দিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে বিসিসিআই আবারও জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সরকারের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে একমত। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছি না, এবং ভবিষ্যতেও এর কোনো সম্ভাবনা নেই।” পাশাপাশি পেহেলগামের হামলার নিন্দাও জানান তিনি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “আমরা কেবলমাত্র আইসিসি বা এশিয়া কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলি। কারণ সেগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের আওতাভুক্ত।”

ভারত-পাকিস্তান শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ২০১২-১৩ সালে। এরপর থেকে সম্পর্কের টানাপোড়েনে সেই দরজাটা কার্যত বন্ধ। সীমিত ওভারের সেই সিরিজেই শেষবার ভারতের মাঠে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানকে।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেললেও, ২০২5 চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারত হাইব্রিড মডেল বেছে নেয়—পাকিস্তানে না গিয়ে ম্যাচগুলো খেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২০ জন। ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামক একটি জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজার বহিরাগত বসতির বিরোধিতা করেই এ হামলা চালানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, কেড়ে নিল ঘুমন্ত নারীর প্রাণ
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
আ.লীগ নিজেকে ভারতের কাছে নগ্নভাবে সঁপে দিচ্ছে: রাশেক রহমান
বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’ নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ