বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজা কৃষ্ণনাথ রায় যেভাবে নওগাঁ দুবলহাটি সাম্রাজ্য রক্ষা করেছিলেন!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ইতিহাসবিদের ভাষ্য মতে, তখন অবিভক্ত বাংলাদেশ। সময়টা ১৭৯৩ সাল। একটু একটু করে ব্রিটিশরা ঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করেছে এই দেশে।

রাজা কৃষ্ণনাথ রায় পৌঁছলেন লর্ড কর্নওয়ালিসের কাছে। কোনও রাজাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না তৎকালীন সময়ে।লড়াই করারও শক্তি ছিল না রাজাদের। রাজারা তখন মূলত সমঝোতার মাধ্যমে ব্রিটিশদের কাছ থেকে নিজেদের রাজ্য চালানোর সম্মতি আদায়ে ব্যস্ত। নওগাঁ শহর ছিল রাজা কৃষ্ণনাথ রায় দুবলহাটি রাজ্যের অন্তর্গত।

রাজা কৃষ্ণনাথ রায় দুবলহাটি সাম্রাজ্য বাঁচানোর চেষ্টায় মরিয়া। কর্নওয়ালিসের কাছ থেকে তিনি ১৪ লাখ ৪৯৫ টাকা দিয়ে রাজ্য পরিচালনা করার দায়িত্ব পেলেন। শোনা যায় রাজা ছিলেন প্রজাবৎসল। প্রজাদের জন্য অনেক সংস্কার শুরু করেছিলেন তিনি। এমনকি স্কুল গড়ার পরিকল্পনাও শুরু করেছিলেন। তবে রাজা কৃষ্ণনাথ রায় ছিলেন নিঃসন্তান। এদিকে ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ তথা অবিভক্ত বাংলাদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু হয়ে গেছে। রাজা কৃষ্ণনাথ রায় চিন্তিত থাকতেন তাঁর পরবর্তী সময়ে প্রজাদের অবস্থার কথা ভেবে। বাৎসল্যে আগলে রাখা প্রজাদের কথা চিন্তা করে তিনি ডেকে পাঠালেন তাঁর এক দুঃসম্পর্কের নাতিকে। শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, সহানুভূতিশীল এই নাতি যে দুবলহাটি সাম্রাজ্যকে ভবিষ্যতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন এমন বিশ্বাস ছিল রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কোনো কোনো ইতিহাসবিদের মতে, ১৮৫৩ সালে দুবলহাটির রাজ্যভার গ্রহণ করেন রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের দুঃসম্পর্কের নাতি হরনাথ যায়। প্রকৃত অর্থেই দাদুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন হরনাথ রায়। রাজা হরনাথের রায়ের আমলে দুবলহাটি রাজ্যের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। দুবলহাটি রাজবাড়িকে রুচিশীলতায় সাজিয়ে তুলেছিলেন রাজা হরনাথ রায়। রাজপ্রাসাদের অনেক স্থাপত্যই রাজা হরনাথ রায়ের আমলে নির্মিত।

রাধাকৃষ্ণ নাথ রায়ের মৃত্যুর পরও প্রজাদের অন্তরে তাঁর স্থান ছিল চিরদিন। শোনা যায় রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের কার্যকলাপের কথা মুখে মুখে ফিরত সেই সময়। এদিকে রাজা হরনাথ রায়ও সারাক্ষণ চিন্তা করতেন প্রজাদের উন্নতি সাধনের। সেই উন্নতি সাধনের প্রথম ধাপ হিসেবে হরনাথ রায় বেছে নিয়েছিলেন নিজের দাদুর পথ। দাদুর পরিকল্পনাকেই বাস্তবের রূপ দেন তিনি। ১৮৬৪ সালে তৎকালীন দুবলহাটি রাজ্যে প্রথমবার স্কুল স্থাপিত হয়। পরে স্কুলটির নামকরণ করা হয় রাজা হরনাথ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতি বছর স্টেটের খরচে ৫ জন করে গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা ছিল এখানে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়াও সেই সময়ে পানীয় জলের কষ্ট ছিল ওই অঞ্চলে। রাজা হরনাথ রায় রাজপ্রাসাদের আশেপাশে এলাকা জুড়ে গড়ে তোলেন অনেকগুলি পুকুর। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় সুবিধা নয়, রাজা হরনাথ রায় প্রজাদের মনোরঞ্জনের জন্য গড়ে তুলেছিলেন নাট্যশালা। রাজা, মন্ত্রী ছাড়াও প্রজারাও সমাদৃত হতেন এই নাট্যশালায়।

দুবলহাটি রাজবাড়ির সঙ্গে যেমন একাধারে যুক্ত ছিল রাজাদের জীবন তেমনি এই রাজবাড়ির সঙ্গে যুক্ত ছিল জমিদারি প্রথা। মোঘলরা দুবলহাটি রাজ্যের রাজাদের জমিদার হিসেবে চিহ্নিত করেন। জমিদারি পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।

দুবলহাটি রাজবাড়ি নওগাঁ শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

প্রায় দু’শ’ বছরের প্রাচীন স্থাপনা এবং তৎকালীন জমিদার রাজা হরনাথ রায় চৌধুরীর সময়ে এই বাড়িটির ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়। দুবলহাটির জমিদারি ছিল সিলেট, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, রংপুর ও ভারত এর কিছু অংশে। ৫ একর এলাকাজুড়ে বিশাল প্রাসাদ। আর প্রসাদের বাইরে ছিল দীঘি, মন্দির, স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয়, চাকার রথসহ বিভিন্ন স্থাপনা। রাজ প্রাসাদের সামনে রোমান স্টাইলের বড় বড় পিলার গুলো রাজাদের রুচির পরিচয় বহন করে। এছাড়াও দুবলহাটি রাজ প্রাসাদে সাড়ে ৩’শ ঘর ছিল। তার ছিল ৭টি আঙিনা। প্রাসাদের ভিতর কোনটি ৩ তলা আবার কোনটি ছিল ৪ তলা ভবন। ১টি গোল্ডেন সিলভার ও ১টি আইভরির তৈরি সিংহাসন ছিল। ব্রিটিশরা সিংহাসন দু’টি নিয়ে যায়।

 

রাজ প্রাসাদের সামনে রোমান স্টাইলের ২টি ধ্বংসাবশেষ মুর্তি। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রাজবাড়িতে এখনও শান-বাঁধানো একটি কুয়ো রয়েছে। রাজা হরনাথ রায় একটি বিশেষ পুকুর খনন করেছিলেন রাজবাড়ির সামনে। এটির নাম গোবিন্দ পুকুর। এই পুকুরের পাশেই নানান সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য দুবলহাটির রাজা নির্মাণ করিয়েছিলেন ‘গান বাড়ি’ নামে একটি ভবন। এই গান বাড়ি কেবল রাজার মনোরঞ্জনের লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছিল।

গান বাড়ি থেকে দূরেই এই রাজপরিবারের কালী মন্দির। সংরক্ষণের অভাবে আগাছায় পরিপূর্ণ এই কালীমন্দির। কালী মন্দিরের কিছু দূরে রাজার বাগান বাড়ি। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা দুবলহাটি রাজবাড়ি এমনভাবেই স্মৃতির ডানা বিস্তার করে রয়েছে দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে। এই রাজবাড়ি আজ ধ্বংসাবশেষে পরিণত।

১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর রাজা হরনাথ রায় ভারতে চলে গিয়েছিলেন। পরে ভারতবর্ষে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতেন তিনি। এমনকি তাঁর কোনো উত্তরসূরিও কখনো আর রাজবাড়িতে ফিরে যায়নি।

বর্তমান রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, ফরিদপুর ও সিলেট জেলায় তার সময়কার জমিদারি বিস্তৃত ছিল। দুবলহাটি জমিদারি বৃহত্তর রাজশাহী জেলার জমিদার পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। ১৮৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে তার জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৮৭৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজা এবং ১৮৭৭ সালে রাজা বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে।

জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পরে বাংলাদেশ সরকার এই রাজবাড়িকে সরকারি সম্পদ হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে নিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার আলাদা করে হয়নি এই রাজবাড়ির। দুবলহাটি রাজপ্রাসাদের মূলত দুটি ভবন। দুটি ভবনই সংস্কারের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

 

Header Ad

বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা: ভোরে জমজমাট লড়াই

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সাল শেষ হতে বাকি দেড় মাস। তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য এই বছর বিদায় নিতে যাচ্ছে খুব শিগগিরই। আর সেই বিদায়ের আগমুহূর্তে মাঠে নামছে লাতিন ফুটবলের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বুধবার ভোরে মুখোমুখি হবে দল দুটি।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা পেরুর বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়। তবে এই ম্যাচের আগে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে তিক্ত হার সামলে ওঠার চেষ্টা করলেও দলের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইনজুরি। অন্তত ছয়জন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মাঠের বাইরে। সবশেষ ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে গেছেন।

প্র্যাকটিস সেশনে বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন স্কালোনি। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রক্ষণভাগে কুতি রোমেরোর জায়গায় নিকোলাস বালের্দি এবং নাহুয়েল মোলিনার বদলে খেলবেন গঞ্জালো মন্তিয়েল। তবে স্কালোনি ম্যাচের আগের দিন কোনো মন্তব্য করেননি।

অন্যদিকে, সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। দরিভাল জুনিয়রের অধীনে কোপা আমেরিকায় হতাশাজনক পারফরম্যান্স এবং টানা খারাপ ফলাফল সেলেসাওদের চাপে রেখেছে। যদিও অক্টোবর উইন্ডোতে টানা দুই জয় নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল ব্রাজিল, তবে শেষ ম্যাচে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্র করে আবার ছন্দ হারিয়েছে তারা।

উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের শেষ স্মৃতিও সুখকর নয়। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল দলটিকে। তবে এবার জয়ের মাধ্যমে বছর শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে তারা।

কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনা ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উরুগুয়ে, সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে কলম্বিয়া। আর ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ব্রাজিল।

আর্জেন্টিনা-পেরু ও ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচগুলো শুধু বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবল নয়, বরং বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই লাতিন পরাশক্তির ভক্তরা ভোরে ঘুম ছেড়ে দেখতে বসবেন জমজমাট লড়াই।

Header Ad

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত: সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের আশ্বাস

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হওয়ায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তিতুমীর কলেজের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৪৫ মিনিটের এই বৈঠকে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কমিটি গঠনের পর সময়সীমা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করবে।

তিতুমীর ঐক্যের সদস্য মতিউর রহমান জয় জানান, “সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচক মনে করছি। সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের আশ্বাস পাওয়ায় আপাতত আন্দোলন স্থগিত করছি। তবে, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে আমরা আবারো বৃহৎ আন্দোলনে যাব।”

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কলেজ শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছিলেন। শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় তারা কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হন।

শিক্ষার্থীদের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাহমুদ হাসান মুক্তার, মোশাররফ রাব্বি, নেয়েক নূর মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, নূরুদ্দিন জিসান, মতিউর রহমান জয়, জাহাঙ্গীর সানি, মেহেদী হাসান মাল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেল্লাল, আল নোমান নিরব, হাবিবুল্লাহ রনি, মো. তোয়াহা ও কাউসার।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জাভেদ ইকবাল বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা করার আহ্বানে আমরা সাড়া দিয়েছি। তবে যদি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হয়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন হলে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন হামলা করেছে। আজ মঙ্গলবার এই হামলা হয়েছে বলে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন আজ সকালে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা করেছে। পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং একটি ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের কারণে ওই এলাকায় একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরেছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানোর কথা ইউক্রেনের গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো ইউক্রেন সরকারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে এই হামলা চালানো হয়েছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ার পর আগুন ধরে যায়। দ্রুত ওই আগুন নেভানো হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

এর আগে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করে যে তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় এটিএসিএমএস ব্যবহার করা হয়েছে কি না, সেটা তারা নিশ্চিত করেনি।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে ওই হামলা হয়েছে। হামলার পর ১২টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

সামরিক বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে আজই এই হামলার আগে রাশিয়ার পরমাণুনীতিতে পরিবর্তন এনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন নিয়ে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে পাল্টা জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে মস্কো। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র হামলা চালানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা: ভোরে জমজমাট লড়াই
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত: সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের আশ্বাস
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা
দুই লাখ কর্মী নেবে জার্মানি: নতুন সুযোগ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
প্রকাশ্যে এল নুসরাতের প্রাক্তনের প্রেম ও প্রেমিকা
নামের আগে উপাধি ব্যবহার না করার অনুরোধ তারেক রহমানের
হাসান মুরাদের হ্যাটট্রিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের দাপট
টাকার সংকটে বেক্সিমকোর ২৪ কারখানা বন্ধ: শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ অনিশ্চিত
হাতে হাত রাখা সেই যুবককে প্রকাশ্যে আনলেন পরীমণি
এবার ৬৫৪ কোটি টাকায় দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেন নেইমার
৩ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারির আত্মপ্রকাশ
কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি অযৌক্তিক: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি
বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন ফি ২০০ টাকা