সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজা কৃষ্ণনাথ রায় যেভাবে নওগাঁ দুবলহাটি সাম্রাজ্য রক্ষা করেছিলেন!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ইতিহাসবিদের ভাষ্য মতে, তখন অবিভক্ত বাংলাদেশ। সময়টা ১৭৯৩ সাল। একটু একটু করে ব্রিটিশরা ঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করেছে এই দেশে।

রাজা কৃষ্ণনাথ রায় পৌঁছলেন লর্ড কর্নওয়ালিসের কাছে। কোনও রাজাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না তৎকালীন সময়ে।লড়াই করারও শক্তি ছিল না রাজাদের। রাজারা তখন মূলত সমঝোতার মাধ্যমে ব্রিটিশদের কাছ থেকে নিজেদের রাজ্য চালানোর সম্মতি আদায়ে ব্যস্ত। নওগাঁ শহর ছিল রাজা কৃষ্ণনাথ রায় দুবলহাটি রাজ্যের অন্তর্গত।

রাজা কৃষ্ণনাথ রায় দুবলহাটি সাম্রাজ্য বাঁচানোর চেষ্টায় মরিয়া। কর্নওয়ালিসের কাছ থেকে তিনি ১৪ লাখ ৪৯৫ টাকা দিয়ে রাজ্য পরিচালনা করার দায়িত্ব পেলেন। শোনা যায় রাজা ছিলেন প্রজাবৎসল। প্রজাদের জন্য অনেক সংস্কার শুরু করেছিলেন তিনি। এমনকি স্কুল গড়ার পরিকল্পনাও শুরু করেছিলেন। তবে রাজা কৃষ্ণনাথ রায় ছিলেন নিঃসন্তান। এদিকে ধীরে ধীরে ভারতবর্ষ তথা অবিভক্ত বাংলাদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু হয়ে গেছে। রাজা কৃষ্ণনাথ রায় চিন্তিত থাকতেন তাঁর পরবর্তী সময়ে প্রজাদের অবস্থার কথা ভেবে। বাৎসল্যে আগলে রাখা প্রজাদের কথা চিন্তা করে তিনি ডেকে পাঠালেন তাঁর এক দুঃসম্পর্কের নাতিকে। শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, সহানুভূতিশীল এই নাতি যে দুবলহাটি সাম্রাজ্যকে ভবিষ্যতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন এমন বিশ্বাস ছিল রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কোনো কোনো ইতিহাসবিদের মতে, ১৮৫৩ সালে দুবলহাটির রাজ্যভার গ্রহণ করেন রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের দুঃসম্পর্কের নাতি হরনাথ যায়। প্রকৃত অর্থেই দাদুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন হরনাথ রায়। রাজা হরনাথের রায়ের আমলে দুবলহাটি রাজ্যের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। দুবলহাটি রাজবাড়িকে রুচিশীলতায় সাজিয়ে তুলেছিলেন রাজা হরনাথ রায়। রাজপ্রাসাদের অনেক স্থাপত্যই রাজা হরনাথ রায়ের আমলে নির্মিত।

রাধাকৃষ্ণ নাথ রায়ের মৃত্যুর পরও প্রজাদের অন্তরে তাঁর স্থান ছিল চিরদিন। শোনা যায় রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের কার্যকলাপের কথা মুখে মুখে ফিরত সেই সময়। এদিকে রাজা হরনাথ রায়ও সারাক্ষণ চিন্তা করতেন প্রজাদের উন্নতি সাধনের। সেই উন্নতি সাধনের প্রথম ধাপ হিসেবে হরনাথ রায় বেছে নিয়েছিলেন নিজের দাদুর পথ। দাদুর পরিকল্পনাকেই বাস্তবের রূপ দেন তিনি। ১৮৬৪ সালে তৎকালীন দুবলহাটি রাজ্যে প্রথমবার স্কুল স্থাপিত হয়। পরে স্কুলটির নামকরণ করা হয় রাজা হরনাথ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতি বছর স্টেটের খরচে ৫ জন করে গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা ছিল এখানে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়াও সেই সময়ে পানীয় জলের কষ্ট ছিল ওই অঞ্চলে। রাজা হরনাথ রায় রাজপ্রাসাদের আশেপাশে এলাকা জুড়ে গড়ে তোলেন অনেকগুলি পুকুর। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় সুবিধা নয়, রাজা হরনাথ রায় প্রজাদের মনোরঞ্জনের জন্য গড়ে তুলেছিলেন নাট্যশালা। রাজা, মন্ত্রী ছাড়াও প্রজারাও সমাদৃত হতেন এই নাট্যশালায়।

দুবলহাটি রাজবাড়ির সঙ্গে যেমন একাধারে যুক্ত ছিল রাজাদের জীবন তেমনি এই রাজবাড়ির সঙ্গে যুক্ত ছিল জমিদারি প্রথা। মোঘলরা দুবলহাটি রাজ্যের রাজাদের জমিদার হিসেবে চিহ্নিত করেন। জমিদারি পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।

দুবলহাটি রাজবাড়ি নওগাঁ শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

প্রায় দু’শ’ বছরের প্রাচীন স্থাপনা এবং তৎকালীন জমিদার রাজা হরনাথ রায় চৌধুরীর সময়ে এই বাড়িটির ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়। দুবলহাটির জমিদারি ছিল সিলেট, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, রংপুর ও ভারত এর কিছু অংশে। ৫ একর এলাকাজুড়ে বিশাল প্রাসাদ। আর প্রসাদের বাইরে ছিল দীঘি, মন্দির, স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয়, চাকার রথসহ বিভিন্ন স্থাপনা। রাজ প্রাসাদের সামনে রোমান স্টাইলের বড় বড় পিলার গুলো রাজাদের রুচির পরিচয় বহন করে। এছাড়াও দুবলহাটি রাজ প্রাসাদে সাড়ে ৩’শ ঘর ছিল। তার ছিল ৭টি আঙিনা। প্রাসাদের ভিতর কোনটি ৩ তলা আবার কোনটি ছিল ৪ তলা ভবন। ১টি গোল্ডেন সিলভার ও ১টি আইভরির তৈরি সিংহাসন ছিল। ব্রিটিশরা সিংহাসন দু’টি নিয়ে যায়।

 

রাজ প্রাসাদের সামনে রোমান স্টাইলের ২টি ধ্বংসাবশেষ মুর্তি। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রাজবাড়িতে এখনও শান-বাঁধানো একটি কুয়ো রয়েছে। রাজা হরনাথ রায় একটি বিশেষ পুকুর খনন করেছিলেন রাজবাড়ির সামনে। এটির নাম গোবিন্দ পুকুর। এই পুকুরের পাশেই নানান সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য দুবলহাটির রাজা নির্মাণ করিয়েছিলেন ‘গান বাড়ি’ নামে একটি ভবন। এই গান বাড়ি কেবল রাজার মনোরঞ্জনের লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছিল।

গান বাড়ি থেকে দূরেই এই রাজপরিবারের কালী মন্দির। সংরক্ষণের অভাবে আগাছায় পরিপূর্ণ এই কালীমন্দির। কালী মন্দিরের কিছু দূরে রাজার বাগান বাড়ি। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা দুবলহাটি রাজবাড়ি এমনভাবেই স্মৃতির ডানা বিস্তার করে রয়েছে দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে। এই রাজবাড়ি আজ ধ্বংসাবশেষে পরিণত।

১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর রাজা হরনাথ রায় ভারতে চলে গিয়েছিলেন। পরে ভারতবর্ষে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতেন তিনি। এমনকি তাঁর কোনো উত্তরসূরিও কখনো আর রাজবাড়িতে ফিরে যায়নি।

বর্তমান রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, ফরিদপুর ও সিলেট জেলায় তার সময়কার জমিদারি বিস্তৃত ছিল। দুবলহাটি জমিদারি বৃহত্তর রাজশাহী জেলার জমিদার পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। ১৮৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে তার জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৮৭৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজা এবং ১৮৭৭ সালে রাজা বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে।

জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পরে বাংলাদেশ সরকার এই রাজবাড়িকে সরকারি সম্পদ হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে নিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার আলাদা করে হয়নি এই রাজবাড়ির। দুবলহাটি রাজপ্রাসাদের মূলত দুটি ভবন। দুটি ভবনই সংস্কারের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

 

Header Ad
Header Ad

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। যতই বদনাম করুন, চার মাসের কাছাকাছি শোনেন নাই যে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারে যারা কাজ করছে হয়ত তাদের অনেকেরই আমাদের মত প্রশাসনিক নলেজ কম থাকতে পারে, কিন্ত কোনো অসৎ ব্যক্তি আমাদের কেবিনেটে নেই, টপ টু বটম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ উপদেষ্টা বলেন, বিএসসিতে আগের মতো চুরিচামারি ও হেরফের হবে না। কোনো চোর ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএসসির জাহাজের বহর আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে এটা সম্ভব হবে। তখন শেয়ার হোল্ডাররা আরও বেশি লভ্যাংশ পাবে বলে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামে (বন্দরে) ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থা করছি। কয়েকটা কান্ট্রি চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনালসহ আরও অন্যান্য বন্দরে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৬০০ মিলিয়ন ডলার বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য বসে আছে। দ্রুত আমরা এটা সাইন করবো।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেয়ারের বাজারে বর্তমান দুর্দিনে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর এ লভ্যাংশ আরও বাড়বে।

বিএসসির ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে বিএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থাটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন শিপিং করপোরেশনের বহরে ছিল ৩৪টি জাহাজ। এতো জাহাজ থাকার পরও সে সময় বিএসসি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে পাঁচ জাহাজে রেকর্ড সংখ্যক লাভ করেছে।

Header Ad
Header Ad

কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে, ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনে একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ছাড়বেন। তার সঙ্গে সফর করবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।

এর আগে, ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দখলদার বাহিনীর সঙ্গে হামাস ও ইসলামী জিহাদ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে অন্তত ৩৫ জন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের এই ঘটনা দখলদার বাহিনীর জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ৭০ শতাংশ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দখলদার সেনারা ৯৬,০০০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে জাবালিয়া শিবির ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় একটি গণহত্যামূলক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আগ্রাসন শুরু হয় হামাসের ঐতিহাসিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়। যা ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারদের বাড়তে থাকা অত্যাচার-নিপীড়নের জবাব হিসেবে পরিচালিত হয়।

এরপরই ইসরাইল গাজার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে এবং গণহত্যামূলক নির্মূল অভিযান শুরু করে। উপত্যকাটিতে ২০ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস করত। তাদের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

গাজায় গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত মোট ৪৫,২৫৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০৭,৬২৭ জন।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান