সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ | ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

রেমালে বিধ্বস্ত পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি, ১৬ জনের প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে দেশের উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে দুই লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৩৩৮টি বসতবাড়ি এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি বসতবাড়ি। এছাড়া ৭ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো–অর্ডিনেশন সেন্টারের দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত রোববার রাতে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। প্রবল ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় উপকূলবর্তী ১৯ জেলা। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় অনেক এলাকা।

সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, রেমালের আঘাতে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ১০৭ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ মানুষ।

দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে খুলনা জেলায়। এই জেলায় ২০ হাজার ৭৬২টি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটে বিধ্বস্ত হয়েছে ১০ হাজার ঘরবাড়ি। বাকিগুলো বিভিন্ন জেলায়।

দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের সবশেষ তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়ে দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৯ জেলা হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। এর মধ্যে মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, চট্টগ্রাম ও পিরোজপুরে।

Header Ad

র‌্যাবের চার ব্যাটালিয়নসহ পাঁচ পরিচালককে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) চার পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদের রোববার সই করা এক আদেশে এ বদলি করা হয়।

বদলি আদেশে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলামকে র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক, র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুর রহমানকে র‌্যাব সদর দফতরের অপারেন্স উইংয়ের পরিচালক, র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী যুবায়ের আলম শোভনকে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক করা হয়েছে।

এছাড়া র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌসকে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এবং র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফিরোজ কবীরকে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক করা হয়েছে।

কোটার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত: শিক্ষামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সোমবার (৮ জুলাই) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ডাকা জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলমান ইস্যুসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর কোটা বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

দুই মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। এতে আইনমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থাকায় চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হছে। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দপ্তর সম্পাদকের কক্ষে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শেষে সেখানে যান সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

পরে বৈঠকে যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

এর আগে রোববার (৭ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটা নির্দিষ্ট মানের মেধা ধারণ না করে কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করা সম্ভব না, সেটা আমরা সবাই জানি। সে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ধাপ কীভাবে নির্ধারিত হবে, সেটা যেহেতু আদালতে পেন্ডিং আছে, তাই সেটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।

তিনি বলেন, যে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেয়া সম্ভব নয়। কেননা, কোটার বিষয়টি উচ্চ আদালতে এখনও বিচারাধীন। রায় না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে মন্তব্য করা আদালত অবমাননার শামিল।

নিরাপত্তায় গানম্যান পেলেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রযন্ত্র তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না? এমন প্রশ্ন তোলার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তায় গানম্যান পেলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হলরুমে ব্যারিস্টার সুমনের সাথে তার ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীর পাশাপাশি একজন গানম্যানকে দেখা যায়। এবিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘হত্যার হুমকির প্রেক্ষাপটে আমাকে এই গানম্যান দেয়া হয়েছে।’

গত ৩০ জুন নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমাকে হত্যার হুমকির কথা আমি আমার এলাকার ওসির মাধ্যমে আমি জেনেছি। এরপর আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমি একজন মেম্বার অফ পার্লামেন্ট (এমপি) আমাকে কেন জিডি করতে হলো? যেহেতু পুলিশই বিষয়টি আমার আগে জেনেছেন। তাহলে কেন পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবিষয়ে পদক্ষেপ নিলেন না? তদন্ত করলেন না? যেখানে আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।’

ওইদিন ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘আমার নিরাপত্তা তো এখন আমার নিজেকেই দিতে হচ্ছে। আমি এটাই বুঝলাম না যে, এই রাষ্ট্রযন্ত্র আদৌও আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না? আমার মনে হচ্ছে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা লেখার জন্য বসে আছে। সাক্ষী দেয়ার জন্য বসে আছে। তবে বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি ভালভাবে বিষয়টি দেখছেন বলেছেন।’

‘অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল হত্যার জন্য টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে’ জেনে সম্প্রতি শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন ব্যারিস্টার সুমন। ওই সাধারণ ডায়েরীতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেছেন যে, গত ২৭ জুন ঢাকায় অবস্থানকালে রাত আনুমানিক ২টার সময় আমার নির্বাচনী এলাকার চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার সরকারী মোবাইল থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে জানান যে, ‘আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪-৫ জনের একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না এবং সাবধানে থাকবেন।’ তখন আমি ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর ছিলেন, এই পদ থেকে তিনি ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অসঙ্গতি তুলে ধরার পাশাপাশি মানবিক কাজ করে জনপ্রিয়তা পান ব্যারিস্টার সুমন। সেই সাথে দেশের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে আইনী লড়াইয়ে নামেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।

একপর্যায়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদকের পদ পান ব্যারিস্টার সুমন। তবে পরবর্তীতে তাকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন ব্যারিস্টার সুমন।

সর্বশেষ সংবাদ

র‌্যাবের চার ব্যাটালিয়নসহ পাঁচ পরিচালককে বদলি
কোটার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত: শিক্ষামন্ত্রী
নিরাপত্তায় গানম্যান পেলেন ব্যারিস্টার সুমন
রথযাত্রায় আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিজ বাড়ির সামনে বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা!
ডিএনএ নমুনা দিতে কলকাতায় যাচ্ছেন ডরিন
হঠাৎ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ওবায়দুল কাদের
আজকের এই দিনেই ৭ গোল খেয়েছিল ব্রাজিল
সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোনে আসক্ত এই ১০ দেশের মানুষ
কোটা বাতিলের দাবিতে এবার রেলপথ অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
কোটা বাতিল ইস্যুতে সরকার আন্তরিক: ওবায়দুল কাদের
চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
চার বিভাগে টানা ৩ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ফাঁস, বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কবে কোথায়
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূস
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
‘পিস্তল’ নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, দুই যুবক আটক
নিলামে উঠল নেপোলিয়নের পিস্তল, বিক্রি সাড়ে ২১ কোটি টাকায়