সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
ছবি: সংগৃহীত
পাবনার ঈশ্বরদী রেল ক্রসিং পারাপারের সময় মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় ঈশ্বরদী-খুলনা রেলপথ স্বাভাবিক হওয়ার পর পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহণ কর্মকর্তা (এটিও) হারুন অর রশীদ জানান, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাতে ঈশ্বরদী জংশন ইয়ার্ড থেকে মালবাহী ট্রেনের শান্টিং চলছিল। ঈশ্বরদী জংশনের রেল ইয়ার্ড থেকে আরেকটি তেলবাহী লড়ির ট্রেন লাইন ক্লিয়ার না নিয়ে খুলনা অভিমুখে যাত্রা করে। এতে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে পাকশীর নির্বাহী প্রকৌশলী শিপন আলী জানান, দুর্ঘটনার পর পরই ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন রাত ১টায় এসে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। দুর্ঘটনা কবলিত দুটি মালবাহী ট্রেনের দুটি বগির আটটি চাকা ও লোকোমোটিভ রেলওয়ে ইঞ্জিনের ছয়টি চাকা অন্যত্র অপসারণ করে রেললাইন সচল করতে টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হলে আটকে থাকা যাত্রীবাহী তিনটি ট্রেনের মধ্যে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন পারাপার করা হয়। পর্যায়ক্রমে খুলনা থেকে আসা রূপসা সীমান্ত ও চিলাহাটি থেকে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি পারাপার করা হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ জানান, স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ দুই ট্রেনের চালককে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে । এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মালবাহী দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে তিনটি আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন মধ্যবর্তী রেলওয়ে স্টেশনে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে ভ্রমণ প্রিয় ট্রেন যাত্রীরা রাতের বেলা বেশ দুর্ভোগ পড়েন। ট্রেন তিনটি নির্ধারিত সময় থেকে ৭ ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, দ্রুত সময়ে রেললাইন সচল করতে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই দুর্ভোগের জন্য পাকশী রেলওয়ে দপ্তর থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।