ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ১১ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ডেসটিনির পরিচালক লে. জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান, গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা, জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, মো. জাকির হোসেন, এস এম আহসানুল কবির বিপ্লবসহ আরও কয়েকজন।
বর্তমানে কারাগারে আছেন রফিকুল আমীন, ফারহা দিবা এবং মোহাম্মদ হোসেন। অন্যদিকে, লে. জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ জামিনে রয়েছেন এবং বাকিদের মধ্যে ১৫ জন পলাতক।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদক কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করে। পরে, ২০১৪ সালের ৪ মে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। তদন্তে উঠে আসে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২,২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ অর্থের মধ্যে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা এলসি আকারে উত্তোলন করা হয় এবং ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার সরাসরি বিদেশে পাচার করা হয়।
ডেসটিনির কর্মকর্তারা আইন ভঙ্গ করে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন। আদালতের এই রায়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রতারণার বড় একটি দৃষ্টান্ত উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জনগণের আস্থায় বড় আঘাত।
এ ঘটনায় আগে ২০২২ সালের ১২ মে আরেক মামলায় রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জন বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছিলেন। আদালতের সাম্প্রতিক এই রায় প্রমাণ করে, আইন লঙ্ঘন করে দুর্নীতি করলেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।