শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভালোবাসা দিবসে ১৫ টাকার গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়

ছবি সংগৃহিত

ভালোবাসা দিবসে সবাই প্রিয়জনকে দিতে চায় তাজা গোলাপ, বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে খোপায় বাধে গাঁদা ফুল। আর সরসতী পূজায় পলাশ ফুল তো লাগবেই। সবমিলিয়ে কদর বেড়েছে ফুলের রানি গোলাপসহ অন্যদের। এবছর বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজা একইদিনে হওয়ায় ফুলের চাহিদা বেশি থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এরপর আবার সপ্তাহ বাদে আসছে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

প্রতিবছরের মতো এবছরও এসব উপলক্ষ কে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ফুলের বাজার। ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বেড়েছে গোলাপ ফুলের কেনাবেচা। পাইকারি বাজার থেকে ফুল ক্রয় করে নিয়ে এসেছেন খুচরো ফুল বিক্রেতারা। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে– গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রথস্টিক, জিপসি, গ্যালেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা, বোথাম ইত্যাদি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। এই ভিড় সামলাতে দোকানের সামনে অস্থায়ী স্টল খুলে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। কোনও দোকানে তিন জন, কোনোটায় ছয় জন পর্যন্ত কর্মচারী রয়েছেন।

এসব দোকানে তিন ধরনের গোলাপ বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে একটি দেশি, বাকি দুটি চায়না ৷ চায়না হলুদ গোলাপ চার দিন আগে বিক্রি হতো ১০-১৫ টাকা, এখন তা ১০০-১১০ টাকা। চায়না সাদা গোলাপ বিক্রি হতো ২০ টাকা, এখন তা ৯০ টাকা। দেশি গোলাপ আগে ছিল ১০-১৫ টাকা, এখন ৬০-৭০ টাকা।

সাধারণত ৩০০টি গোলাপের প্রতিটি বান্ডিল বিক্রি হয় আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকায়। তবে ভালোবাসা দিবসে এই বান্ডিল বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ফুলের দোকানি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ভালো মানের গোলাপ ফুল এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসে চাহিদা ও সুযোগ বুঝে প্রতিপিস গোলাপ ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন ফুল বিক্রেতারা। এ ছাড়া রজনীগন্ধার স্টিক মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, প্রতিটি গাঁদার মালা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, জারবেরা ফুল ৩০ থেকে ৫০ টাকা, অর্কিড স্টিক ৪০-৬০ টাকা, গ্লাডিওলাস রংভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তিন উৎসব একদিনে হওয়ায় প্রত্যেক দোকানিরা প্রায় লাখ টাকার বেশি ফুল বিক্রির প্রত্যাশা করছেন। এ মাসের ১৪ তারিখ এবং ২১ তারিখ সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয়। ১৪ তারিখে গোলাপ আর ২১ তারিখে গাঁদা ফুল বেশি বিক্রি হয়। এসব দিনে ফুলের দোকানগুলোতে অনেকে বাড়তি কর্মচারী ও কারিগর রাখেন।

শাহবাগে ফুলের বাজার রয়েছে দুটি। একটি খুচরা বাজার, অপরটি পাইকারি। পাইকারি বাজারের কার্যক্রম শুরু হয় রাত ৩টায়, যা চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত। রাতভর ট্রাক-পিকআপে করে ঢাকার আশপাশ ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখানে বিভিন্ন ফুল আনা হয়। সাধারণত যশোর, বেনাপোল, ফরিদপুর, সাভার, মানিকগঞ্জ, দোহার, নবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে ফুল আসে। পরে এখান থেকেই ঢাকার অন্য খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা ফুল সংগ্রহ করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে– গাঁদা, রজনিগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রথস্টিক, জিপসি, গ্যালেনডোলা ও চন্দ্রমল্লিকা। যশোর ও ঝিনাইদহ থেকে চাষিরা এসব ফুল নিয়ে আসেন। সাভার, মানিকগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকার চাষিরাও গোলাপ, রজনিগন্ধা, ছোট-বড় গাঁদা ফুল নিয়ে আসেন।

শাহবাগে ৫০টির মতো খুচরা ফুলের দোকান রয়েছে। ক্রেতারা এই বাজার থেকে ফুল সংগ্রহ করেন।

ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুল প্রসাদ বলেন, সারা বছর তো এখানে পাইকারি দামে ফুল বিক্রি হয়। ধরেন, প্রতিদিন এখানে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ফুল কেনাবেচা হয়। আর ১৪ ও ২১শে ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি পাইকারিতে ফুল বিক্রি হবে। আর খুচরা বাজার তো আছেই। যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, রংপুরসহ মোট ২৪টি জেলা থেকে এখানে ফুল আসে।

যা বলছেন ক্রেতারা

অধিকাংশ ক্রেতার অভিযোগ, ফুলের দাম বাড়তি। রোহান আহমেদ নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষ্যে এরই মধ্যে ফুলের চাহিদা বেড়েছে। সেজন্য ব্যবসায়ীরাও দাম বেশি চাইছেন। কিন্তু এটি ঠিক নয়। তারা সাধারণ মানুষের চাহিদাকে পুঁজি করে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন।

ফুলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা উচিত উল্লেখ করে নাহিদ হাসান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বাড়ে। এটি ফুল উৎপাদনেরও সময়। বাজারে ফুলের কোনো ঘাটতি নেই। সেজন্য বিষয়গুলো তদারকি করা প্রয়োজন। ব্যবসায়ীরা যা খুশি দাম নিচ্ছেন। তাই অতিরিক্ত দাম ঠেকাতে যথাযথ তদারকি প্রয়োজন।

গোলাপ ফুল কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, কিছুদিন আগে যে গোলাপ ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা দরে কিনেছি সেই গোলাপ আজ ১০০ টাকা দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এছাড়া ছোট সাইজেরগুলো ৫০ থেকে ৭০ টাকা দাম চাচ্ছে। শুধু একদিনের জন্য গোলাপ ফুলের দাম বেড়ে যাওয়াটা অযৌক্তিক।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো রাজনৈতিক দর্শন পাইনি: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

অনেক ভালো ভালো কথা বললেও রাষ্ট্র সম্পর্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো পলিটিক্যাল ফিলোসফি (রাজনৈতিক দর্শন) পাননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে (আইডিইবি) ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (এনআরএফ) আয়োজনে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ত্যাগ ও নেতৃত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ‘নন্দিত নেত্রী খালেদা জিয়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

রিজভী বলেন, আজ দুয়েকজন বুদ্ধিজীবী বলেন ক্ষমতায় থেকেই তো বিএনপির জন্ম হয়েছে। ওনারা ভুলে গেছেন, ওনারা রাজনীতিতে একটা নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করছেন। এরশাদ, জিয়াউর রহমান নিয়ে আসতে চাচ্ছে, কিন্তু এইটা যে ঠিক নয়, জিয়া যে অন্য মাত্রার, অন্যকিছু, জিয়া একটি নতুন দর্শন দিয়েছেন। আজ অনেকে দল করছেন, আমি গতকাল নতুন যারা দল করেছেন তাদের ওখানে উপস্থিত ছিলাম, তারা অনেক ভালো ভালো কথা বলেছেন রাষ্ট্র সম্পর্কে, কিন্তু পলিটিক্যাল ফিলোসফি কিন্তু আমি পাইনি।

তিনি বলেন, এতগুলা টেলিভিশন, আমরা যে খবরের কাগজ পড়ছি, গণতন্ত্রে বহুমতের যে একটা জায়গা আছে, সহিষ্ণুতার যে জায়গা আছে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? বাকশালের অন্ধকার গুহা থেকে গণতন্ত্রের আলোর মশাল জ্বালিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। যেসব বুদ্ধিজীবী বলেন, বিএনপিও তো ক্ষমতায় থেকে তৈরি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তৈরি বা বিএনপির জন্মের সঙ্গে অন্য দলের জন্মের হাজার পার্থক্য আছে। কারণ বিএনপি এমন একটি আলোচিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করেছেন বলেই আবার যখন গণতন্ত্র সংকটের মুখে পড়েছে বেগম খালেদা জিয়া আবার গণতন্ত্রের মশাল জ্বালিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিজয় করেছিলেন ৯০ দশকে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৬ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যে প্রেরণায় আমরা জেল খেটেছি, দিনের পর দিন রিমান্ডে গেছি, আমাদের সালাহউদ্দিন আহমেদ (স্থায়ী কমিটির সদস্য) দুই মাস অন্ধকার কুঠুরিতে থেকেছেন, যেখানে দিন না রাত বোঝা যায় না, এত যে নির্যাতন এটা কার প্রেরণায়? এটা বেগম খালেদা জিয়ার প্রেরণায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. আনোরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবউননবী খান সোহেল, প্রফেসর ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন রুনু, ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসিম, সহ-স্বেচ্ছা সেবক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজেড সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীসহ অনেকে।

Header Ad
Header Ad

খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এবারের রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সরকার রমজানের পুরো মাস নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, রোজার সময় ভোজ্যতেল, ছোলা ও খেজুরসহ কিছু কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এসব পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যের মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও প্ল্যানিং কমিশন কাজ করছে। তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। বিশেষ করে ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে কীভাবে সরবরাহ বাড়ানো যায় সে প্রচেষ্টা চলছে। আমরা প্রতিদিন মনিটরিং করছি, সামনে সরবরাহ পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয়। এরপর বেশ কিছু মাস জুড়ে ছয় ছয়টি বন্যা হয়। সরকারকে তখন সেদিকে বেশি নজর দিতে হয়।

শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন অক্টোবর মাসেই। তার নির্দেশনা অনুসারে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কীভাবে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় সে ব্যাপারে উপদেষ্টামণ্ডলী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যারা কাজ করেন তারা নানা পদক্ষেপ নেন। এ কারণে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসকের সহায়তায় সরকারি বাস নিয়ে আসার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, ছাত্রদের রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে লোক আনতে সরকারিভাবে বাস রিকুইজিশনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেটি ঘটেছে তা অতিরঞ্জিত। পিরোজপুর থেকে বাসযোগে সমাবেশে যোগ দেওয়ার ঘটনায় সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। পিরোজপুরের ডিসি এ বিষয়ে জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি কয়েকটি বাস রিকুইজিশনের জন্য ডিসিকে চিঠি দিয়েছে। সেখানে তারা জুলাই বিপ্লবে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন এমন দুটি পরিবারকে আনতে সহযোগিতা চান। তারা অনুরোধ করেছিল ৫টি বাস দিয়ে হেল্প করতে। সেই প্রেক্ষাপটে হয়তো বাসের ব্যাপারে হেল্প করেছেন ডিসি। এ ব্যাপারে ডিসি অফিস থেকে কোনো জ্বালানি তেল বা অন্যান্য কোনো খরচ দেওয়া হয়নি বলেও ডিসি জানিয়েছেন।

প্রেস সচিব বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। দেশে এ ধরনের আরো কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না, সে ব্যাপারে তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে মিডিয়ায় যেসব খরচ আসছে তার বেশিরভাগই অতিরঞ্জিত।

চলতি মাসের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি, এই প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ কিন্তু দেওয়া হয়েছে। বিএনপি হয়ত সুনির্দিষ্ট একটা তারিখ চাচ্ছে। সরকার কিন্তু বারবার বলেছে যে, নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে যদি সব রাজনৈতিক দল মনে করে কোর রিফর্ম করে তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিকে দেশ ধাবিত হবে, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। যদি তারা চান আরও কিছু সংস্কার হোক তাহলে সেক্ষেত্রে আরও ৩ মাস দেরি হতে পারে।

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের আলোচনা আবার কবে শুরু হচ্ছে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, আমরা আশা করছি এটা খুব শিগগিরই শুরু হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসময় পাবনায় ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে বিভ্রান্তি হচ্ছে বলেও জানান। তিনি বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। পাবনার আঞ্চলিক একটি মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল এবং একটি সিএনজি অটোরিকশা– এই তিনটি পরিবহনে ডাকাতি হয়েছে এবং সেখানে আরও দুটি ট্রাক ছিল, মোট ৫টি পরিবহন ছিল। এর বাইরে আর কোনো গাড়ি সেখানে সেভাবে ছিল না। ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশের টহল গাড়ি সেখানে পৌঁছায়।

Header Ad
Header Ad

দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা শুরু

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল রোববার (২ মার্চ) থেকে দেশে রোজা শুরু হচ্ছে। সেই হিসেবে আজ শনিবার (১ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ শুরু হবে।

শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

রমজান মাসে সিয়াম সাধনা ও ইবাদতে কাটান সারা বিশ্বের প্রায় ১৮০ কোটি মুসলমান। মুসলিম উম্মাহর প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুকম্পার মাস রমজান। তাই এই রমজান মাসে ত্যাগ ও সংযমের চর্চা করে খোদার সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকেন মুসলিম উম্মাহ।

এ মাসেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর কোরআন শরীফ নাজিল হয়। রমজান মাসে রোজা রাখা ইসলাম ধর্মের ৫টি মূল ভিত্তির অন্যতম এবং সব স্বাস্থ্যবান মুসলিমের জন্য রোজা রাখা ফরজ।

হাজার বছর ধরে সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ দেখে রমজান মাসের শুরু এবং দুই ঈদের দিন সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আসছে সারা বিশ্বের মুসল্লিরা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সূচিত হয় রমজান মাস। তারাবির নামাজও পড়া শুরু হয় সেদিন থেকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো রাজনৈতিক দর্শন পাইনি: রিজভী
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে: প্রেস সচিব
দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা শুরু
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে পার্থক্য কোথায়, প্রশ্ন নুরের
ভোট কারচুপিতে জড়িত ইউএনওদের বিচারের আওতায় আনতে হবে : ফারুক
শ্মশানের যায়গা দখল ও মন্দিরে ডাকাতি করেছে আ'লীগ: আব্দুস সালাম
৪৫ দিনের মধ্যে শুরু হবে শেখ হাসিনার বিচার কাজ: চিফ প্রসিকিউটর
মেট্রোরেলের নতুন নির্দেশনা: রমজানে বহন করা যাবে ২৫০ মিলি পানি
চট্টগ্রামে 'ভুয়া পুলিশ' বলে এসআইকে মারধর ও ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২
পল্লবী থেকে চায়নিজ রাইফেলের ৩০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
জামিল আহমেদের কথা সব সত্য নয়, কিছু ডাহা মিথ্যা: ফারুকী
দেশে একমাত্র শান্তির দল হলো বিএনপি: শাহজাদা  
ভারতীয়রা সীমান্ত আইন না মানলে বিজিবি আরো কঠোর হবে : ডিজি
রমজানে ঢাকায় ২৫টি স্থানে ৬৫০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস
মিঠাপুকুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে খামারের মাছ চুরির অভিযোগ
রমজানে শপিংমল, বাস টার্মিনালে ছদ্মবেশে দায়িত্ব পালন করবে ডিবি সদস্যরা  
টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও