টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সুজারলিন জার্লেট গোমেজ (২২) নামে এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মির্জাপুর কুমুদিনী নার্সিং কলেজে হোস্টল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
এরআগে দুপুরে কোন এক সময়ে হোস্টেলের একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে।
সুজারলিন জার্লেট গোমেজ গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার চড়াখোলা গ্রামের জেরোম গোমেজের মেয়ে।
তিনি কুমুদিনী হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে শিক্ষার্থী হিসেবে সেবিকার কাজ করতেন ও ডিপ্লোমা নার্সিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
জানা যায়, হোস্টেলে তার সঙ্গে আরও তিন ছাত্রী থাকতেন। সকালে তার সহপাঠীরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে কাজে যায়। এরই মধ্যে কোনো এক সময় সে কক্ষের ভেতরেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদতন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইলের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদের ক্রয়কৃত প্লাষ্টার বালুর স্তুপ। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
সিরাজগঞ্জের বালু মহাল থেকে কেনা ব্যবসার উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন মজুতকৃত ৩ টি স্তুপ করে রাখা প্রায় ১০ কোটি টাকার আস্তর (প্লাষ্টার) বালুকে অবৈধ বালু হিসাবে জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সেই আস্তর বালু গোপন নিলামের মাধ্যমে প্রায় ৪৯ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম।
গত ৬ জানুয়ারি উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক মাসুদের নিজস্ব ও লিজ নেওয়া জমিতে বালু ঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন এসিল্যান্ড মো. তারিকুল ইসলাম। পরের দিন গত ৭ জানুয়ারি ১০ কোটি টাকার বালু ৪৮ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ (ভ্যাট ব্যাতিত) টাকায় গোপন নিলামে স্থানীয় জহুরা এন্টারপ্রাইজের কাছে বিক্রি করেছেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদের স্ত্রী শেফালী মাসুদ জানান, প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট প্লাষ্টার (নির্মাণকাজে ব্যবহৃত) বালুকে ২৬ লাখ ১২ হাজার ৮০০ ঘনফুট ধরে এবং বালুর ধরণ ভিটি বালু দেখিয়ে নিলাম দেওয়া হয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা ঘনফুট। অথচ প্রতি ঘনফুট বালু সাধারণত বিক্রি হয় ১০ থেকে ১৪ টাকায়। দায়িত্বরত কর্মকর্তা অসৎ উদ্দেশ্যে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ নিলাম দিয়েছেন।
এদিকে গোপনে নিলামের বিষয়ে জানাজানি হলে উপজেলা ও জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন সুধীমহল।
নিলাম আইন অনুযায়ী, নিলাম পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ এর নিদের্শক্রমে নিলাম ডাকের কমপক্ষে ৭ কার্যদিবস পূর্বে ২টি জাতীয় দৈনিক এবং ১টি স্থানীয় দৈনিকে নিলামের বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে লিখিত চিঠি প্রদান ও সংশ্লিষ্ট দফতরের ওয়েবসাইটেও তা প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নিলামের তারিখ, ক্যাটালগ প্রদানের তারিখ, ক্যাটালগের মূল্য, পণ্য পরিদর্শনের তারিখ-সময়, জামানতের পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে। এবং পণ্য পরিদর্শনের তারিখ নিলাম অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ২ কার্যদিবস আগে হতে হবে। কিন্তু এসব আইনের কোন কিছুই মানা হয়নি জব্দকৃত ওই বালু নিলামের ক্ষেত্রে।
অপরদিকে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে উপজেলা সার্ভেয়ার মো. রফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামকে বালু ঘাটে রাখা স্তুপকৃত বালুর ধরণ ও পরিমাপের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনটি স্তুপে রাখা হয়েছে মোটা বালু, যা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরদের মতে, সেখানে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট বালু রয়েছে। সিরাজগঞ্জের মেসার্স এস কন্সট্রাকশন থেকে এই বালু কেনা হয়েছে এমন অসংখ্য রশিদ উপস্থাপন করেন ভুক্তভোগীরা।
পলশিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন, কয়েক মাস আগেই সিরাজগঞ্জ মহাল থেকে বালু কিনে এনে চেয়ারম্যান তার নিজের জায়গা ও অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে বালু রেখেছে। প্রতি সিএফটি বালু কেনা পড়েছে ৮টাকা। বর্তমানে বিভিন্ন ঘাটে প্রতি সিএফটি বালু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৪ টাকা। অথচ এসিল্যান্ড এর দাম ধরেছেন ১ টাকা ৮৫ পয়সা।
একই এলাকার নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক এলাকায় থাকি। কোনো মাইকিং করা হলে কেউ না কেউ শুনতো বা জানতো। এছাড়া কোনো পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে সেটিও জানা যেতো। এসিল্যান্ডের অফিসে নিলামের বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে রাখলেও জানা যেত। তাও টাঙায়নি। ঘটনাস্থলেও কোন নিলামের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় নাই। বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে গোপন নিলাম করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনটি বালু স্তুপের মধ্যে একটি স্তুপের বালু পা দিয়ে পরিমাপ করেছি। অন্য ২টি শুধু দেখেছি। এতে আনুমানিক সবমিলিয়ে ২৬ লাখ ঘনফুট নির্ধারণ করেছি। অন্যান্য বিষয় এসিল্যান্ড স্যার জানেন। যদিও একদিন পরেই তার বক্তব্য পরিবর্তন করেন সার্ভেয়ার। নতুন বক্তব্যে তিনি জানান, ফিতা ও চেইন টেনেই বালু পরিমাপ করেছি। এ কাজে তাকে আরও ২ জন সহায়তা করেছে। তবে, ৩টি বালুর স্তুপের কোনটিতেই মাপামাপি হয়নি বলে প্রত্যক্ষ্য দর্শিদের জোড়ালো দাবি ।
উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, বালুর ধরণ সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছিল। পরে আমার দফতরের লোক পাঠালে সে নমুনা নিয়ে আসে। নমুনা দেখে ভিটি বালু মনে হয়েছে। আমি সেটি বলে দিয়েছি।
আইনানুযায়ী নিলামের দিন তারিখ উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দিয়ে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু এ নিলামে তা কোন কিছুই মানা হয়নি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাইল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কবে কোথায় কিভাবে বালু নিলাম হয়েছে তা জানা নেই। তাছাড়া নিলাম অনুষ্ঠানের মৌখিক বা লিখিত কোনো চিঠি পাইনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অনুযায়ী বালু জব্দ করে নিলাম দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু পরিবহন করে সেখানে স্তুপ করে রাখা হয়েছিল তাই এটি অবৈধ। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি জমিতে মজুদ অবৈধ। তাই এটিও অবৈধ। এছাড়া বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মোতাবেক জন দুর্ভোগ ও পরিবেশ দূর্ষণ করায় এটি অবৈধ। কোন ব্যক্তির জমিতে বালু রাখলেও প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন। সুতরাং আইনের ব্যত্যয় হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু মেপে তারপর নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, বালু আইনের বিধি মোতাবেক তিনি নিলাম করেছেন। যদি সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হন তাহলে তিনি আপিল করতে পারবেন। সেই সুযোগ তার রয়েছে। এটির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কারও দোষ প্রমাণ হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে। পরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও, ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আপিলটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ করেন।
২০২২ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগের আদেশে খারিজ হওয়া আবেদন পুনরুজ্জীবিত হয়। এতে জামায়াতের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ফিরে পেতে নতুন করে আইনি লড়াইয়ের পথ উন্মুক্ত হয়।
আগামী শুনানিতে জামায়াতের আপিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কী আসে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
নওগাঁর মহাদেবপুরে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের পর গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ডাকাত দল। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকজামদই গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে পচা (২৯), একই গ্রামের তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর গ্রামের সোলাইমান আলী (৩৮), জিনারপুর গ্রামের রিপন আলী (৩০), গৌড়রা বৌদ্দপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৩২), চককন্দর্পপুর গ্রামের সাগর হোসেন (১৯) ও বন্দীপুর গ্রামের রুবেল সরদার (২৮)।
গ্রেপ্তার সাত ব্যক্তির মধ্যে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। অন্যদের পূর্বেই গ্রেপ্তার করা হয়। পূর্বে গ্রেপ্তার পাঁচ সদস্যের মধ্যে সাগর হোসেন, তারেক হোসেন ও রিপন আলী আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, সংঘবদ্ধ ডাকাতদের একটি দল গত ৯ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঢোকেন। ওই বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তাঁরা বাড়ির সদস্যদের মুখ, হাত-পা বেঁধে রেখে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল ফোন লুট করে। স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে যাওয়ার সময় তাঁর ওই বাড়ির গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি খোলা মাঠে গৃহবধূকে ডাকাতরা পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পর দিন মহাদেবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, শুরুর দিকে এই ঘটনা পুলিশের কাছে ক্লুলেস একটি ঘটনা ছিল। ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় মহাদেবপুর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তিনজন আদালতের কাছে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। পরে তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরও চারজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গতকাল সোমবার দিবাগত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন ও জয়ব্রত পাল এবং মহাদেবপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসমত আলী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, সোমবার রাতে গ্রেপ্তার দুইজন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।