ঝালকাঠিতে স্কুলসহ ৮ দোকান পুড়ে ছাই
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া বন্দর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনশেডের তিনটি কক্ষ এবং আটটি দোকান মালামালসহ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার (২৮জানুয়ারি) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে এ আগুন লাগে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুনে আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আগুনে পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
আগুন থেকে মালামাল উদ্ধার করতে গিয়ে অন্তত ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস, ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা জানান, রাতে বাজারের নৈশ প্রহরীরা নেছারের হোটেলে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন।
পরে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে আগুনের বিষয়টি জানিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। খবর পেয়ে কাঁঠালিয়া ও বামনা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দীর্ঘ ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে বন্দরের বেশকিছু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুনে আমুয়ার আমীর মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড তিনটি কক্ষ, নেছারের হোটেল, পলাশের কম্পিউটার দোকান, মাসুদের জুতার গোডাউন, বাবুলের গার্মেন্টের পোশাকের দোকান, বাবুলের জুতার দোকান, শাহ জাহানের মুদি দোকানসহ আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় আরও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, এতে তাদের অর্ধকোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। মালামাল উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অন্তত ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। রাতেই ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার ও ওসি মো. মুরাদ আলী।
কাঁঠালিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমুয়া বন্দরে ব্যাপকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে- এমন খবর পেয়ে কাঁঠালিয়া ও বামনা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি হচ্ছে।
এমআর/এমএসপি