নির্বাচনি প্রচারে মাইকিং করছেন প্রার্থী নিজেই
এলাকায় তিনি ‘ভোট পাগল’ হিসেবেই পরিচিত। নির্বাচনের সময় হলে প্রার্থী হওয়া যেন তার এক ধরনের নেশা। এবারও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল হাই। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে ২০২২ পর্যন্ত সব নির্বাচনেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নির্বাচনি প্রচারের অংশ হিসেবে মাইকিং করছেন তিনি নিজেই।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) এলাকায় তাকে অটোরিকশায় চড়ে মাইকিং করতে দেখা যায়। অন্য প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থক ও রেকর্ডিং করে মাইক দিয়ে প্রচার চালালেও এভাবেই কর্মী-সমর্থক ছাড়াই নিজেই নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছেন আব্দুল হাই।
এলাকাবাসী জানান,চর ভূরুঙ্গামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই। এর আগে ২০০৩ সালে তিনি উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ২০০৯ সালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-১ আসনে জাকের পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। পরে ২০১৯ সালে আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। এবার ইউপি নির্বাচনে সদর ইউনিয়ন থেকে তিনি আবারও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে তিনি নিজে ড্রেন ও সড়ক পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশ নিয়ে প্রশ্রংসা কুড়িয়ে ছিলেন। এবার প্রচারে নিজে মাইকিং করে আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি।
কর্মী সমর্থক ছাড়াই নিজেই মাইক দিয়ে তার প্রচার চালানোর বিষয়ে আব্দুল হাই বলেন, ‘জনগণকে উন্নয়নের প্রতিশ্রতি নিজের মুখেই দিতে চাই। নৈতকতা সম্পন্ন ইউনিয়ন বিনির্মাণে আমার প্রতিশ্রতিগুলো সরাসরি জনগণকে জানাতেই আমি নিজে মাইকিং করছি।’
বারবার কেন নির্বাচনে অংশ নেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জনগণের পাশে থেকে জনগণের জন্য কাজ করতেই বারবার নির্বাচনে অংশ নিই।
আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিনটি ইউপি ও চিলমারী উপজেলার পাঁচটি ইউপিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভূরুঙ্গামারী সদরই উনিয়নে মোট ছয়জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসএন