কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আব্দুল জলিল পঞ্চগড় সদর থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলা শহরের পূর্ব জালাসী এলাকার এক বিধবা নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করতে যান পঞ্চগড় সদর থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল। তদন্তের এক পর্যায়ে ওই বিধবা নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে তোলেন তিনি। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই নারীর সঙ্গে। পরে ওই নারী বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়। ২৩ জানুয়ারি (রবিবার) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী ওই নারী তার ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি এই নারীলোভী এই পুলিশের দ্রুত বিচার দাবি করছি। আর যাতে কোনো নারী এভাবে সেবা নিতে এসে পুলিশের হাতে ধর্ষণের শিকার না হয়।’
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন বলেন, ‘আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও কুড়িগ্রাম সদর থানার বর্তমান উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।’
/এএন