কক্সবাজারে জন্ম নেওয়া শিশুর নাম ‘মোখা’
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে হাসপাতালে নেওয়া প্রসূতি মায়ের সেই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে ‘মোখা’। রবিবার (১৪ মে) ভোরে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই নবজাতকের জন্ম হয়।
ওই প্রসূতির নাম জয়নব বেগম (১৯)। তিনি উপজেলার রাজাখালীর বামুলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আরকানের স্ত্রী।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের এয়ার আলী খান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছিলেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আসার কয়েক ঘণ্টা পর তার প্রসববেদনা শুরু হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কোনো পরিবহন পাওয়া যাচ্ছিল না।
খবর পেয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার গভীর রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশের গাড়িতে করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানেই ভোরে জয়নব এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, গতকাল সারাদিন ও রাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ও আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে আমরা কাজ করেছি। রাতে একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় এয়ার আলী খান আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় নামের আরেকটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে খবর পাওয়া যায়, এক নারী প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছেন। রাত দেড়টায় সেখানে গাড়ি পাওয়া যাবে না। তাই আমি গাড়ি নিয়ে সেখানে গিয়ে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভোর সাড়ে চারটার দিকে ওই নারী সন্তান জন্ম দেন।
জয়নব বেগম বলেন,পুলিশ স্যার আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করলেন,সেটি আসলে ভোলার মতো নয়। তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ওসি স্যারকে।
জয়নব বলেন, যেহেতু ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় আমার সন্তান জন্ম নিয়েছে,তাই তার নাম রাখা হয়েছে মোখা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, ওই নারী স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। মা ও ছেলে সুস্থ আছে।
এসএন