হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত নওগাঁর জনজীবন
মাঘ মাসের কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা নওগাঁর মানুষ। কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়া ও কুয়াশা থাকায় দেখা মেলেনি সূর্যের। তবে বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মিলেছে। তবে বইছে হিমেল বাতাস। দিনের তাপমাত্রা খানিকটা বৃদ্ধি পেলেও স্থানীয়রা শীত নিবারণে পরে থাকছে গরম কাপড়।
হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পাশাপাশি কুয়াশা পড়ায় রাতে ও সকালে সড়কে যানবাহনগুলো লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। মূলত ডায়রিয়া আর শ্বাসকষ্টজনিত রোগে বেশি ভুগছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গোস্তহাটির মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা দিনমজুর বদশা মিয়া বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়। দেরি গেলে আর কাজ পাওয়া যায় না। তখন না খেকে থাকতে হয়। সরকার যদি আমাদের একটু সহায়তা করতো তা হলে ভালো হতো।’
সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামের আল মাসুদ জানান, বিকাল হতেই কনকনে বাতাস বইছে সেই সঙ্গে তীব্র ঠাণ্ডা শুরু হয়েছে। মোটা কাপড়েও ঠান্ডা মানছে না।
নওগাঁ শহরের ইজিবাইক চালক মামুন বলেন, ‘সকাল থেকে গাড়ি নিয়ে বসে আছি, যাত্রী নাই। ঠান্ডার কারণে যাত্রী কমে গেছে। যাত্রী না হওয়ায় আয় কমে গেছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে কষ্ট করে দিনযাপন করতে হচ্ছে।’
বালুডাঙ্গা মোড়ে শীতে জুবুথুবু হয়ে রিকশায় বসে থাকা বৃদ্ধ আয়েজ উদ্দিন বলেন, শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছি বাবা, কিন্তু কি করবো, পেট তো আর শীত বুঝে না! সংসারের তো চাহিদা পূরণ করতে হবে, ঘরে থাকলে তো আর পেট চলবে না।’
এসআর/এএন