বোরো ধানে স্বপ্ন বুনছেন ফেনীর কৃষকরা
ফেনীতে রোপা আমনে বাম্পার ফলনের পর এবার বোরো ধানে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন কৃষকরা। বীজতলা তৈরির পর তীব্র শীত উপেক্ষা করে উৎসাহ-উদ্দীপনায় কোমর বেঁধে বোরো ধানের চারা রোপন করছেন তারা। অনেকে জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। গত ক'দিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি প্রস্তুত করতে এখন মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ-চারা উঠানো এবং রোপণ করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১১৫ হেক্টরে হাইব্রিড ও ২৬ হাজার ৯৫ হেক্টরে উচ্চফলনশীল (উফশী) বীজ আবাদ করা হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৯৬০, ছাগলনাইয়ায় ৫ হাজার ৫৯০, ফুলগাজীতে ৪ হাজার ৬৫০, পরশুরামে ৩ হাজার ২৪০, দাগনভূঞায় ৬ হাজার ৫০০ ও সোনাগাজীতে ১ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, বোরো আবাদ উপলক্ষ্যে জেলায় ১ হাজার ৪৬৮ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২-১শ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ১ হাজার ৩৫৩ হেক্টর জমিতে উফশীসহ ১ হাজার ৫৬২ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৪৩, ছাগলনাইয়ায় ২৮৫, ফুলগাজীতে ২৭০, পরশুরামে ১৬১, দাগনভূঞায় ৩৩৫ ও সোনাগাজীতে ৬৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, কৃষকদের বোরো আবাদে উৎসাহিত করতে জেলায় ১০ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ, ৪ হাজার কৃষককে ৫ কেজি করে উফশী বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার, ১০ কেজি করে বিনামূল্যে এমওপি সার প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আশা করি, সরকার থেকে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি ফলন আমরা পাব। অন্য জাতের চেয়ে ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা ব্রি-ধান ৮৯, ব্রি-ধান ১২ চাষ করছেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর নামে এবার ব্রি-ধান ১০০ চাষেও কিছু কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
এএএম/এমএসপি