১ লাখ ১২ হাজারে বিক্রি হলো বিলুপ্ত প্রজাতির শাপলাপাতা
গভীর সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ২৮০ কেজি ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ। মাছটি বৃহত্তম পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১ লাখ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চত করেন। সকালে মাছটি কেনেন পিরোজপুর মঠবাড়িয়া উপজেলার সোহরাব হোসেন নামে একজন পাইকার।
এর আগে রবিবার সাগরে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের জেলেদের জালে ধরা পরে মাছটি। এরপর আজ সকালে পাথরঘাটায় এনে মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজারে মাইকিং করা হয়। পরে প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে মাছটি ১ লাখ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। বিশাল আকৃতির মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি ওসমানের বরাত দিয়ে আড়তদার টিপু খান জানান, গভীর সাগরে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের জালে অন্য মাছের সঙ্গে একটি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ে। মাছটি বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে প্রকাশ্য নিলামে ডাকা হয়। নিলামে সোহরাব হোসেন ১ লাখ ১২ হাজার টাকায় মাছটি কেনেন।
ক্রেতা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বিশাল এক মাছ বাজারে এসেছে এমন খবর পেয়ে চলে এসেছি। ২৮০ কেজির মাছটি ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এটি কেটে ভাগ দিয়ে ৫শ থেকে ৬শ টাকা দরে বিক্রি করবো।’
দর্শনার্থী ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে মাইকিং শুনে মাছটি দেখতে চেয়েছিল। ও এখন পর্যন্ত এত বড় মাছ দেখেনি। তাই ওকে দেখানোর জন্য এখানে নিয়ে এসেছি। মাছটি সত্যিই অনেক বড়।’
বরগুনা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘প্রজননে বিঘ্ন ঘটায় শাপলাপাতা মাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ মাছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় এরকম আরও কয়েক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ রয়েছে যা ধরতে জেলেদের আমরা নিরুৎসাহিত করি।’
/এএন