পৌরসভা নির্বাচন
নাটোরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ
নাটোর পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর এজেন্টের বের করে দেওয়া, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান, প্রকাশ্যে নৌকায় সিল এবং কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকের অনুসারীদের হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগ নিয়েই চলছে ভোট গ্রহণ।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক আল মামুন দাবি করেন, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ৩০টি কেন্দ্রের অধিকাংশ বুথেই তার এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন বুথ থেকে নৌকা প্রার্থীর অনুসারীরা তাদেরকে বের করে দিয়েছে মর্মে তিনি জানতে পেরেছেন।
তিনি আরো দাবি করেন, শহরের লালবাজার কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল নেওয়া হচ্ছে। ফুলবাগান কেন্দ্র, কান্দিভিটুয়া কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে তার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। শেরেবাংলা কেন্দ্রেও তার এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বলেন, শেরেবাংলা কেন্দ্রে অবস্থান করার সময় নৌকা প্রার্থীর কিছু অনুসারী পুলিশসহ তাকে বের করে দিতে চায়। এ সময় অন্যান্য পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই বহিরাগতদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরেবাংলা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও তার কাছে নারিকেল গাছ প্রতীকের কোনো এজেন্ট আসেনি। পোলিং এজেন্টদের কার্ড তার কাছে রয়েছে। পোলিং এজেন্ট আসলেই তিনি বসিয়ে দিতে পারবেন।
এমদাদুল হক আল মামুনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নৌকার প্রার্থীর এজেন্টরা দাবি করেছে-নারিকেল গাছ প্রতীক প্রার্থী কেন্দ্রের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করছে। তারা ওই মেয়র প্রার্থীকে বের করে দেওয়ার দাবিতে ভিতরে প্রবেশ করে। তবে তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আল মামুনের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আছিলাম জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ইভিএম সমস্যায় ভোট দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন অনেক ভোটার। শেরেবাংলা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা গীতা রানী নামে এক ভোটার দাবি করেন, তিনি এ পর্যন্ত সকল ভোট দিয়েছেন। কিন্তু আজ ইভিএমে ভোট দিতে এসে আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর তার স্মার্ট কার্ডের সঙ্গে কম্পিউটারের তথ্যের নাম না মেলায় তিনি ভোট দিতে পারেননি। তিনি ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
কেএম/এসআইএইচ/