ইভিএমে খাচ্ছে সময়, ভোট পড়ছে ধীরে ধীরে
আজ সকাল ৮টা থেকে বিপুল আগ্রহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভোট। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ৮০ বছরের বৃদ্ধা থেকে নতুন ভোটার সবার চোখে-মুখে ছিল উৎসবের আমেজ। তবে ভোটকেন্দ্র ঘুরে যেটা দেখা গেছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের সাহায্যে ভোট গ্রহণ করায় দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। মূলত ইভিএমে খেয়ে ফেলছে প্রায় ২ মিনিট করে।
বিশেষ করে বয়স্ক নারী ভোটারদের ভোট প্রদানে কারো কারো ৩ থেকে ৪ মিনিট করে সময় লাগছে। এর অন্যতম কারণ আঙ্গুলের ছাপ মেলে না। কয়েকবার চেষ্টা করার পরে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ভোটার নম্বর টুকে তথ্য যাচাই করছেন। এরপর গোপন বুথে গিয়ে বুতাম চাপতে না পারায় আবার বিড়ম্বনায় পরেন আসমা বেগম। এবারও সহযোগিতার হাত বাড়ান পোলিং অফিসার।
এভাবে একটা ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে ৩ থেকে ৫ মিনিট লেগে যাচ্ছে। দেওভোগ শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে প্রতিটি কক্ষের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভোট কাস্টিংয়ের সময় ক্ষেপণ।
এই কেন্দ্রে মোট ৮টি ভোট কক্ষ রয়েছে। তার মধ্যে নারীদের ৩টি পুরুষদের ৫টি। নিচ তলায় ১ নম্বর কক্ষে মোট ভোটার ছিল ৪১৪টি, সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে মোট ভোট কাস্টিং হয়েছে ৩৪টি, ৩ নম্বর কক্ষে ৪১৪ ভোটের মধ্যে ৩৭টি ভোট কাস্টিং হয়েছে এটা সকাল ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত।
একই অবস্থা ২ নম্বর কক্ষে, সেখানে সকাল ১০টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪১টি। এই কক্ষে ভোটার ছিল ৪১৪টি।
পুরুষ ভোটারদের ক্ষেত্রে সময় একটু কম লাগছে। একই কেন্দ্রের ১ নম্বর কক্ষে ৪১০টি ভোটের মধ্যে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ভোট পড়েছে ৫৯টি। ২ নম্বর কক্ষে ভোট পড়েছে ৭০টি, ৩ নম্বর কক্ষে ভোট পড়েছে ৬০টি, ৫ নম্বর কক্ষে ৪০৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৭০টি।
এ রকম প্রতিটি কক্ষে ভোটার উপস্থিতি থাকলে ভোট দিতে সময় লাগছে অনেক।
এসএম/এসআইএইচ/