টাঙ্গাইল-৭ আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন ভোট দিতে। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন লম্বা হতে শুরু করেছেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনী এলাকায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, চার প্লাটুন বিজিবি, ৮১০জন পুলিশ সদস্য ও র্যাবের ১০টি মোবাইল টিম এবং ১ হাজার ৮৫০ আনসার সদস্যসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, এ উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টির জহিরুল হক জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরগাড়ি)।
এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জন এবং পাঁচজন হিজড়া ভোটার রয়েছেন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২১টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৫৭টি, সাধারণ কেন্দ্র ৬৪টি। আর নির্বাচনে ভোট কক্ষ রয়েছে ৭৫৬টি।
নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার মিলিয়ে ১৮-১৯ জন করে সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে র্যাব ও ডিবির টিমও কাজ করছে। প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে রয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, নির্বাচনে পুলিশের ৮১০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ৫০জন এপিবিএন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। পুলিশের ১৬টি মোবাইল টিম, পাঁচটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও আটটি ডিবির টিম দায়িত্বে রয়েছে। আশা করছি সবার প্রচেষ্টায় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ আসনের নির্বাচনের সহকারী রিটানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, কড়া নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে৷ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে আনসার ও পুলিশের ১৯ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আশা করছি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৬ নভেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। জেলায় প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছে স্থানীয় ভোটাররা। আর এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।
এসএন