মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় ২২ জন আটক
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ২২ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি। এ নিয়ে দুই দিনে ৩০ জন আটক হলেন।
শনিবার ভোরে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধীনস্থ যাদবপুর বিওপির কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি মেহগনি বাগান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৫ শিশু রয়েছে। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মো. তারেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, খুলনা জেলার ফুলতলা থানার জামিরা গ্রামের এরশাদ আলী গাজীর ছেলে আনোয়ার গাজী (৩৫), তার স্ত্রী সখিনা বেগম, মেয়ে রুকাইয়া গাজী (০৩), ছেলে আব্দুল্লাহ (০২), যশোর জেলার অভয়নগর থানার বনগ্রামের বিরাট সমাজপতীর স্ত্রী শিখারাণী সমাজপতী, মেয়ে রিয়া সমাজপতী, ছেলে তীপ্ত সমাজপতী, নড়াইল জেলার সদর থানার তালতলা গ্রামের মৃত শাহাদাৎ হোসেনের মেয়ে আন্না (৩০), বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার করাতের দিয়া গ্রামের চিত্ত রঞ্জন মন্ডলের স্ত্রী উষারাণী মন্ডল (৬০), যশোর জেলার বেনাপোল থানার পোড়াবাড়ী গ্রামের মৃত কেরামত মান্ডলের ছেলে আলম মন্ডল (৪৭), একই উপজেলার কাগমারী গ্রামের মৃত লালচান মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (১৭), সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার চন্ডিচর গ্রামের কৃষ্ণহরণ দাসের ছেলে খোকন দাস (৪১), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গোবিন্দনগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দস মিয়ার ছেলে সেবুল মিয়া (২০), সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার বিশ্বনাথ গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে সাইফুল আলম (৩০), ফরিদপুর জেলার আলফাডাংগা থানার হেলেঞ্চা গ্রামের সালামের ছেলে রাজা (৪০), একই জেলার বোয়ালমারী থানার ভুলবাড়ীয়া গ্রামের কাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৩), যশোর জেলার মনিরামপুর থানার পলাশ ভান্ডারী মোড় গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (৪৭), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার মজুমদার বাড়ী গ্রামের গকুল বাওয়ালীর ছেলে তপন বাওয়ালী (২৩), যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার দরাজহাট গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে হুমায়ূন কবীর (৪৪), ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার কুটিপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৩১) এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার পাগলির বিল গ্রামের নূর আহম্মেদের ছেলে জমির আহম্মেদ (৩০)।
আটক ২২ জনের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট ধারায় মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরকেএল/এসটি/এএন