নওগাঁয় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হাত-পা কেটে দেওয়ার হুমকি!
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার যারা লাগাবে তাদের হাত-পা কেটে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নিয়ামতপুর প্রেস ক্লাবে ভাবিচা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.শরিফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো.শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, 'আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভাবিচা ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ওবায়দুল হকসহ তার কর্মী-সমর্থকরা সব সময় আমাকে এবং আমার কর্মী সমর্থকদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।'
মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, 'প্রতীক বরাদ্দের আগে গত ২৫ অক্টোবর মারধর ও আমার দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন নৌকার প্রার্থীর লোকজনেরা। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণার প্রথমদিন উপজেলার কয়েস স্কুল মাঠে পোস্টার লাগাতে গেলে আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে তারা। বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে পোস্টার ছিড়ে ফেলে তারা। প্রচারণা শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে নৌকার সমর্থকরা মোটরসাইকেল আটকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এখন নৌকা প্রার্থীর লোকজনেরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।'
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, 'ভোট কেন্দ্রে ভোটার যেতে দিবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া ডিমা এলাকার নৌকা মার্কার প্রভাবশালী কয়েকজন কর্মী আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, আনারস প্রতীকের পোস্টার যারা লাগাবে তাদের হাত-পা কেটে দেওয়া হবে'।
তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনও আমার অভিযোগের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনভাবে হুমকি, নির্বাচন ক্যাম্প ভাংচুর ও প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না বলে ধারণা করছি। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।'
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুল হক বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি বা আমার কর্মী-সমর্থকরা শরিফুলকে কোনো হুমকি দিয়নি। তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে সে নির্বাচনে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।'
এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান জানান, 'ভাবিচা ইউনিয়নে হট্টগোল হয়েছে এমন একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি একটি শান্তিপূর্ণ নিবার্চন উপহার দিতে পারবো।'
/এএন