জমি সংক্রান্ত বিরোধে মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
রংপুরের পীরগাছায় জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। গত বুধবার (১২ জানুয়ারি) উপজেলার পারুল ইউনিয়নের অনন্দি ধনিরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। নির্যাতনের শিকার মা গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগম ধনিরাম গ্রামের সাজাহান মিয়ার স্ত্রী ও কন্যা বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে সাজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফ্ফার মিয়ার ছেলে জিয়ারু মিয়ার জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। বুধবার সকালে জিয়ারুল তার লোকজনসহ সাজাহানের জমি দখল করে গাছ ও রাস্তা কাটতে থাকে। এ সময় সাজাহান ও তার পরিবারের লোকজন রাস্তা কাটায় বাঁধা দেয়। এতে জিয়ারুল এবং তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সাজাহানের স্ত্রী গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগমকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে।
স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিলে পীরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় মা-মেয়ে দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। তারা এখন চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সাজাহান বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
সাজাহান মিয়া বলেন, প্রতিবেশী জিয়ারুল ও তার লোকজন জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছে। থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেনি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মা-মেয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগীদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা (ওসি তদন্ত) শুকুর মিয়া বলেন, ‘ভাইরাল ভিডিওটিসহ পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুরের এএসপি (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জিএমএ/এএন