প্রচারণা শেষে ভোটের জন্য প্রস্তুত নারায়ণগঞ্জ
আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা পূর্বে শুক্রবার দিবাগত রাতে (১৫ জানুয়ারি) শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে শুরু হবে ভোট যুদ্ধ। ওই দিন সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের। এটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন।
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোট প্রদান করবেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডের ১৯২ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে এক হাজার ৩৩৩টি। এরমধ্যে অস্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৯৫টি।
ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার সদস্যকে নিয়োগ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়।
শনিবার সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রিসাইডিং অফিসার নেতৃত্বে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বক্স ও ব্যালট পেপার নিয়ে যাবেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন শান্তিপূর্ণভাবে রবিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট সাতজন প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। যিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সদ্যসাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তার প্রতীক "হাতি"। এছাড়া আরও পাঁচ প্রার্থী হচ্ছেন খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেওয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মাও. মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ১৪৮ জন। এরমধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ জন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ জন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ জন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ জন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ১৯ ওয়ার্ডে ৩ জন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ জন এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপরদিকে ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৪ প্রার্থী। এর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এনএইচবি/এএস