রমেকে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ ঠাকুরগাঁওয়ের নারীর মৃত্যু
শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এক বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত নারীর নাম আবেদা বেগম (৬০)। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দ নগর মুন্সিরহাট গ্রামের মৃত মোস্তফার স্ত্রী। অগ্নিদগ্ধ আবেদা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. এম এ হামিদ পলাশ।
তিনি বলেন, শীত নিবারণ করতে গিয়ে খড়কুটোর আগুনে দগ্ধ হয়েছিলেন আবেদা বেগম। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে শ্বাসনালি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ২৪ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসাধীন দগ্ধ রোগীদের মধ্যে এক বৃদ্ধাসহ আরও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অধ্যাপক এম এ হামিদ পলাশ আরও জানান, চিকিৎসাধীন বেশিরভাগ রোগীই শীতের তীব্রতা থেকে উষ্ণতা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন। প্রতি শীত মৌসুমে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিদগ্ধের এমন ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বার্ন ইউনিটসহ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত বছর শীত মৌসুমে ২৫ জনের বেশি নারী ও শিশু দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার রংপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। চলতি মাসেই কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
/এএন