আমাদের ডাক্তার-নার্সরা এখন অভিজ্ঞ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, 'আমাদের ডাক্তার-নার্সরা এখন অভিজ্ঞ। ডেলটা ভেরিয়েন্ট মোকাবিলায় তারা সফলতার পরিচয় দিয়েছে। অমিক্রনেও তারা সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে। অমিক্রনে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় জেলা, উপজেলার হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা প্রস্তুত এখন। যদি রোগী বাড়ে তাহলে তারা চিকিৎসা দিতে সমর্থ হবে।'
শনিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ২০ হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখা আছে। যদি সংক্রমণের হার অতিমাত্রায় বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে বেডের স্বল্পতা হতে পারে। এজন্য আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। ইতিমধ্যে আমাদের বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
'সামাজিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসনের বেশি লোকজন দাওয়াত দিতে পারবেন না। তা না হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। দোকানপাট রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। লঞ্চ ও ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। টিকার কার্ড সঙ্গে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে হবে। কাজে-কর্মে প্রতি অবস্থায় মাস্ক পড়তে হবে।'
'গত ১৫ দিন আগেও আড়াই শ থেকে তিন শ লোক সংক্রমিত হয়েছে। গতকাল ও পরশু সাড়ে এগারো শ লোক সংক্রমিত হয়েছে। অর্থাৎ সংক্রমণের হার ৪ গুণ বেড়ে গেছে। এটা খুবই আশঙ্কাজনক। এই হারে যদি বাড়ে, রোগীর সংখ্যাও বাড়বে। রোগীর সংখ্যা বাড়লে হাসপাতালের বেডে স্বল্পতা দেখা দেবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও অসুবিধা দেখা দেবে।'
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যুবায়ের হোসেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ সময় ২ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
টিটি/