কুড়িগ্রামে এক রাতে ৮ বাড়িতে সিঁদেল চুরি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক রাতে ৮টি বাড়িতে সিঁদ কেটে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় সংঘবদ্ধ চোরের দল নগদ টাকা, অলংকার, মোবাইল ফোন ও জামা-কাপড় চুরি করে নিয়ে যায়।
উপজেলার কেদার ইউনিয়নে বাহের কেদার গ্রামের কবিরাজপাড়া ও প্রধানী পাড়ায় চুরির এ ঘটনাগুলি ঘটেছে।
ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম ও মফিজল ইসলাম জানান, বুধবার গভীর রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল একে একে ৮টি বাড়ির নয়টি ঘরের সিঁদ কেটে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা দুটি বাড়িতে কিছু না পেলেও অপর ৮টি বাড়ি থেকে নগদ টাকা, গয়নাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এতে প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল চুরি গেছে বলে তারা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম দাবি করেন তার ঘরের সিদ কেটে নগদ ৩৭ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ৬০ হাজার টাকার জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
আমজাদ হোসেনের স্ত্রী রেজিয়া পারভীন জানান, তার ঘর থেকে একটি মোবাইল, একটি টর্চলাইট এবং নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা চুরি গেছে।
কোরবান আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, তার সাড়ে ৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এছাড়া মফিজুল ইসলামের একটি মোবাইল, কাপড়চোপড়, মিজানুর রহমান মিন্টুর দুটি মোবাইল ফোন, নগদ ১২শ টাকা চুরি যায়। অন্যদেরও নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বলে জানা যায়।
কেদার ইউনিয়নের নব নির্বাচিত ১নং ওর্য়াড সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, এক রাতে একই সময়ে এতগুলো বাড়ি চুরি যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ৬টি বাড়িতে চোরেরা প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে তারা ৩৭ হাজার টাকা, ২টি টাচ ও ৩টি হ্যান্ডসেট মোবাইল নিয়ে গেছে। এছাড়া গৃহিণীদের ব্যবহৃত কয়েকটি রূপার চুড়ি ও চেন খোয়া গেছে বলে জেনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় এসে অভিযোগ করেনি। আমরা সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি।’
/এএন