সিলেটে খাদ্যসংকটে লোকালয়ে ধরা পড়ছে মেছোবিড়াল
সম্প্রতি সিলেটে মানুষের পাতা ফাঁদে অহরহ ধরা পড়ছে মেছোবিড়াল। স্থানীয়রা বলছেন, শেয়াল হাঁস, মুরগি খেয়ে ফেলছে ভেবে ফাঁদ পাতা হলে আটকা পড়ছে বাঘ সদৃশ প্রাণী। পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, নিরাপদ আবাসন ও খাদ্যের সংকটে এসব মেছোবিড়াল লোকালয়ে চলে আসছে।
সব শেষ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সিলেটের শহরতলীর দলইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দূর্গাবাবুর পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে আরও একটি মেছোবিড়াল। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পরিবেশ কর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিকালে বিড়ালটি উদ্ধার করে বন বিভাগ। যা খাদিমনগরে অবমুক্ত করা হয়।
দূর্গাবাবু বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে হাঁস, মুরগি শেয়াল খেয়ে ফেলছে। তাই ফাঁদ পেতেছিলাম। কিন্তু ধরা পড়ে বাঘের মত একটি প্রাণি। পরে এটি বন বিভাগ এসে নিয়ে যায়। তারা বলেছে এটি মেছোবিড়াল।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেছোবিড়ালটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান সিলেট বন বিভাগের টাউন রেঞ্জ কর্মকর্তা (ওয়াইল্ডলাইফ) মো. শহীদুল্লাহ্। তিনি বলেন, ‘এটি হাঁস,মুরগি খাওয়া ছাড়া মানুষের ক্ষতি করে না। তাই এসব প্রাণি নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।’
তবে ফাঁদে মেছোবিড়াল ধরা পড়ার ঘটনা ইদানিং অহরহ ঘটছে জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘অবাধে বন কাটা ও টিলা ধ্বংসের ফলে এসব মেছোবিড়াল খাদ্যসংকটে পড়ছে এবং লোকালয়ে খাদ্যের জন্য হানা দিচ্ছে। তাই লোকজন শেয়াল ভেবে ফাঁদ পাতলে আটকা পড়ছে মেছোবিড়াল।’
তিনি জানান, আজ সকাল থেকে সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের এই বাড়িতে উৎসুক দর্শনার্থীরা ভীড় জমায়। তিনি বিড়ালটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করার জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরীকে জানালে তিনি বিকালে বন বিভাগের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠান।
আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘এক সময় সিলেটে প্রচুর বন-জঙ্গল ছিল। কিন্তু মানুষ এগুলো ধ্বংস করে বড় বড় স্থাপনা তৈরি করেছে। তাই বন্যপ্রাণী সংকটে পড়ছে। যার কারণে এসব প্রাণী লোকালয়ে চলে আসে।
এসইউ/এএন