ঢাকায় নেওয়ার পথে লঞ্চের আগুনে দগ্ধ শিশুর মৃত্যু
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ১০ বছর বয়সী দগ্ধ শিশু তাইফাকে ঢাকায় নেওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মামা বনি আমিন।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা আলী সিকদার বরগুনার কেওড়াবুনিয়া থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। সঙ্গে তাইফার বাবা বশিরও ছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আমার বাবা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচান। আমার বাবা, দুলাভাই ও ভাগ্নি সবাই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে অবস্থা খারাপ হওয়ায় ভাগ্নিকে নিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিই। ১১টার দিকে নগরীর আমতলার মোড়ে অ্যাম্বুলেনসেই মারা যায় তাইফা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাঝনদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক বিল্লাল উদ্দিন। তবে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। এর মধ্যে ৭২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এসএন