শেখ হাসিনা আবারও ফিরে আসবে, দেশের অবস্থা ভালো না। সরকার দু'বেলা ভাত খায়, কিন্তু দেশের মানুষ দু'বেলা ভাত পায় না। বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানিকালে এজলাসে তোলার সময় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে কথা বলতে নিষেধ করেন। একজন হেলমেট নিচে নামিয়ে দেন। তখন সোলায়মান সেলিম বলেন, ‘আমার মুখ যতই চাপায় রাখার চেষ্টা করুক, মুজিববাদীরা মুজিব আদর্শ কখনো ভুলবে না।’
এর আগে আজ ( বৃহস্পতিবার) বেলা ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে বের করা হয়। পুলিশ সদস্যরা তাদের সিঁড়ি দিয়ে ৪র্থ তলায় ওঠানোর চেষ্টা করেন। তখন কামরুল ইসলাম দাঁড়িয়ে যান। বলেন, ‘হাঁটতে পারবো না। চারতলায় উঠতে পারবো না। লিফট আছে না। লিফটে ওঠায় দেন।’ পরে তাদের লিফটে করে ওপরে নেওয়া হয়। তবে সোলায়মান সেলিম লিফটে যেতে চাননি। পরে অবশ্য লিফটে করেই ওপরে ওঠেন।
পরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়। সোলায়মান সেলিমের পক্ষে শ্রী প্রাণনাথ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘চার দিনের রিমান্ডে ছিল। পুলিশ প্রতিবেদনে তিনি যে সম্পৃক্ত এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। আর ঘটনার সময় তিনি দলীয় কোনও পদে ছিলেন না।’
পরে কামরুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করার জন্য ডাকা হয়। তবে কামরুল ইসলাম আইনজীবীকে শুনানি করতে দেননি।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসররা এখনও সক্রিয়। জামিন পেলে অশান্তি সৃষ্টি করবে। শান্তি নষ্ট করবে। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’