হঠাৎ হাসপাতালে মাশরাফি, নানা অভিযোগ রোগীদের
নিজ নির্বাচনী এলাকা নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে নানান অনিয়ম দেখে অসেন্তাষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। যিনি নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য।
এর আগে গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী একইভাবে নড়াইল সদর হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে নানা অনিয়ম ও চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি দেখতে পান তিনি। ওই সময় বেশ কয়েক চিকিৎসককে বদলি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জানা গেছে, সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে হঠাৎ করেই পরিদর্শনে যান নড়াইল সদর হাসপাতালে। কিন্তু ওই সময়ে হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা খাবারে নানা অনিয়মের কথা জানান মাশরাফিকে। রোগীদের ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক সময়ে হাজির না হওয়া, চিকিৎসক-কর্মচারীদের ছুটি না নিয়ে অফিসে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান তিনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক এই ক্রিকেটার হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে হাসপাতালের মাত্র তিনজনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সী। এ সময় মাশরাফি বিষয়টি নিয়ে একটু কঠোর হলে তত্ত্বাবধায়ক চুপসে যান।
এ সময় মাশরাফি তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সীর কাছে জানতে চান, অনুমতি না নিয়ে বা কারো দরখাস্ততে তত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষর নেই অথচ তিনি ছুটিতে রয়েছেন। ছুটি নামঞ্জুর করলেও ছুটি ভোগ করছেন কিভাবে? কিন্তু মাশরাফির এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।
অসন্তোষ প্রকাশ করে মাশরাফি হাসপাতালের তত্বাবধায়ককে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিকেলের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে মাশরাফি বিন মর্তুজা সাংবাদিকদের বলেন, 'হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন স্থান থেকে গরীব মানুষ আসে দূর-দূরান্ত থেকে। তাদের খাবার দেওয়া হয় না। চিকিৎসকরা ঠিকমতো অফিস করেন না। রোগীরা খাবার-ওষুধ পায় না, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এনবএইচবি/এসআইএইচ