আনসারদের হাতে রোগীর ৬ স্বজন লাঞ্ছিত
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আনসার সদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন দুই রোগীর ছয় স্বজন।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। আনসারদের লাঠির আঘাতে নাহিদ হাসান নামে এক ব্যক্তির মাথা কেটে গেছে। তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন।
আনসার সদস্যদের হামলার সময় আত্মরক্ষায় রোগীর এক স্বজন জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে রাজপাড়া থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাদের আনসার সদস্যদের হাত থেকে রক্ষা করে স্বজনদের। তার আগে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় রোগীর স্বজনদের।
ভুক্তভোগী নাহিদের বাড়ি নগরীর টিকাপাড়া এলাকায়। তিনি একজন ব্যবসায়ী। নাহিদ জানান, রাত ৯টার দিকে ওয়ার্ডের সামনে তিনি দেখেন পাশের ওয়ার্ড থেকে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটাতে পেটাতে আনসারদের অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই লোকটির পায়ে স্যান্ডেলও নেই। পাঁচ-ছয়জন আনসার তাকে পিটিয়েই যাচ্ছেন। এভাবে পেটাতে দেখে তিনি এর প্রতিবাদ করেন।
এরই মধ্যে আরও ২০-২২ জন আনসার সদস্য চলে আসেন লাঠি হাতে। তারা নাহিদকে বলতে থাকেন, ‘এটা চোর’। নাহিদ বুঝতে পারেন, তাকে চোর সাজিয়ে গণপিটুনি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তখন পালিয়ে ওয়ার্ডের ভেতর চিকিৎসাধীন থাকা তার মায়ের কাছে যান। সেখানে গিয়ে আনসার সদস্যরা তাকেও মারধর করতে থাকেন। তাকে বাঁচাতে গেলে লাঞ্ছিত হন তার দুই ভাই, বোন ও ভাইয়ের স্ত্রী। আনসারদের হাত থেকে বাঁচতে নাহিদ তখন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। এরপর পুলিশ এসে তাদের রক্ষা করে। পরে থানা থেকে ফোন করে তাকে বলা হয়েছে চাইলে তিনি এ ঘটনায় মামলা করতে পারবেন। নাহিদ জানান, তিনি আগে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর মামলা করবেন।
হাসপাতাল আনসার বক্সের প্লাটুন কমান্ডার রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর স্বজনেরা পরিচালক স্যারের সঙ্গে দেখা করলেন। আমরাও আছি। বিষয়টি সমাধান হয়ে যাচ্ছে।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘রাতে ওয়ার্ডের ডাক্তার রোগীর স্বজনদের বের হয়ে যেতে বলছিলেন। কিন্তু একজন বের হচ্ছিলেন না। আনসাররা তাকে বের করতে গেলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন ওই ব্যক্তির পক্ষ নেওয়ায় আরেকজন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়ে গেছে।’
এসএন