রাজশাহীতে নভোথিয়েটার নির্মাণ শেষ হবে জুনে
মহাকাশ সম্পর্কিত জ্ঞান সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় করতে রাজশাহীতেও নির্মাণ করা হচ্ছে নভোথিয়েটার। এর মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে মূল কাঠামো। অবশিষ্ট কাজ আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ করার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় দুই দশমিক তিন শূন্য একর জায়গাতে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় এই নভোথিয়েটার। এর নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’। করোনার ধাক্কায় নভোথিয়েটারটির নির্মাণ কাজের গতি কমলেও এখন আবার দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নভোথিয়েটারের চারতলা অফিস ব্লকের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৩৯ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের প্ল্যানেটোরিয়াম ব্লকের নির্মাণকাজও শেষের দিকে। এখন আধুনিক প্রযুক্তির ‘ডোম’ বসানো হলেই কাজ প্রায় শেষ হবে। ডোমটি আসবে বাইরে থেকে। কাজ শেষ করতে অবশ্য ইতোমধ্যে কয়েকদফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অবশেষে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নভোথিয়েটারে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল প্রজেক্টের সিস্টেমযুক্ত প্ল্যানেটোরিয়াম, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ডিজিটাল এক্সিবিটস, ফাইভ-ডি সিমিউলেটর থিয়েটার ও টেলিস্কোপ থাকবে। কম্পিউটারাইজড টিকেটিং অ্যান্ড ডেকোরেটিং সিস্টেমসহ থাকবে আরও নানা সুবিধা। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর দ্রুত অন্য যন্ত্রাংশ বসান হবে। গত ২১ নভেম্বর রাজশাহী জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় নভোথিয়েটার নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীতে নভোথিয়েটার নির্মাণের প্রকল্পটি প্রথমে গ্রহণ করেছিল সিটি করপোরেশন। পরে এটির বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২২২ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, রাজশাহী স্থাপন’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় পাস হয়। এখন এর বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১। ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণের কাজ পায়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, মহাকাশ সম্পর্কিত জ্ঞান সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় করা, বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট কুসংস্কার দূর করতে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক নাগরিক তৈরিতে সুযোগ-সুবিধা ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দেওয়াই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘করোনার কারণে কাজে ধীরগতি এলেও এখন দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষের লক্ষ্য রয়েছে। আশা করছি এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’
এসএসকে/এএন